কোচবিহারের জনসভার খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন বিজেপি থেকে ফোন এসেছে খোদ তৃণমূল রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুব্রত বক্সির কাছে৷ বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর তীব্র ক্ষোভ উগরে নেত্রী জানান, বিজেপি এতটা নীচে নেমেছে, আপনারা শুনলে লজ্জা পাবেন৷ সু্ব্রত বক্সি রাজ্যের তৃণমূলের সভাপতি একজন সাংসদও৷ তাঁকেও ফোন করে বলছে- দাদা একটু কথা আছে৷ আপনার সঙ্গে বসব৷ কত বড় সাহস! কোথায় গিয়েছে বিজেপি একবার ভাবুন৷ সামান্য, ন্যুনতম লজ্জা, ভদ্রতা, সৌজন্যতা নেই৷ থাকলেও কেউ একাজ করে না৷ আমার দলের সভাপতিকে ফোন করে যদি এটা বলতে পারে, তাহলে আসলে কী কী হচ্ছে ভেবে দেখুন৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেওয়ার সময় হঠাৎই নেত্রীর গলায় অভিমানী সুর৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এখন এমন অনেকে আছেন যারা তাঁর মৃত্যু কামনা ছাড়া আর কিছুই করছেন না৷ যাতে আমি চলে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারে৷ দিদির মুখে এমন কথা শুনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যেকেই হতভম্ব হয়ে যান কিন্তু সবথেকে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া আসে সুব্রত বক্সির কাছ থেকে৷ এমন কথা শুনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি৷ কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, আপনি এমন কথা বলবেন না। আপনি থাকবেন। আপনি সারাজীবন আমাদের নেত্রী থাকবেন। আমাদের রাস্তা দেখাবেন।
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন বিজেপি থেকে ফোন পেয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও৷ সে প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, কালকেই কেষ্ট মানে অনুব্রত মণ্ডল আমাকে ফোন করেছিল৷ ও আমাদের বীরভূম জেলা সভাপতি৷ আমাকে ফোনে বলল, দিদি আমাকে দিল্লি থেকে একজন ফোন করে বলছে আমার সঙ্গে নাকি বসতে চায়৷ কথা বলবে৷ অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে কী উত্তর দিয়েছেন তাও খোলসা করেন নেত্রী৷ বলেন, ‘আমি TMC, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি ৷ তোমার সঙ্গে কেন বসতে যাব! তোমার সঙ্গে তো আমার কোনও কথা থাকতে পারে না ৷
Be the first to comment