রাজ্যের দেওয়া কনফারেন্স প্রস্তাব অবশেষে মেনে নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । বিকেলে মুখ্যসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে বৈঠক হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের । অপরদিকে, আইপিএস ডেপুটেশন পোস্টিংয়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ।
সকাল থেকে আইপিএস সংঘাত, মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ আজ সকালে ফের জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে তলব করে কেন্দ্র । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হয় । পালটা নবান্নের তরফে জানানো হয়, কোরোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় ।
এদিকে তিন আইপিএসকে ডেপুটেশন পোস্টিং দেওয়া নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে । এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে আবারও তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । তারপরই মুখ্যসচিব ও ডিজিপি যাবেন না বলে সরাসরি বার্তা দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে । পরিবর্তে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার । তারপরই রাজ্যের এই প্রস্তাবে সহমত হয় কেন্দ্র ।
১২ ডিসেম্বর প্রথমবার মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করে কেন্দ্র । ১৪ ডিসেম্বর সাক্ষাৎ করার কথা ছিল তাঁদের । কিন্তু, তার আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তাঁদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় । কারণ হিসেবে বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতির কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি এও জানানো হয়, রাজ্য সরকার ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে ও সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরপর রাজ্যের তিন আইপিএসকে ডেপুটেশনে নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই তিন আইপিএস বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাজ্য সরকারের আপত্তিকে মান্যতা না দিয়ে গতকাল তিন আইপিএসকে পোস্টিং দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তুঙ্গে।
Be the first to comment