বড়দিনের সকালেও শাসকদলকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জবাব দিলেন বিজেপির কোনও মুখ নেই’ মন্তব্যের। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, তৃণমূল কোনওভাবেই একুশে বাংলার দায়িত্ব পাবে না।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল, বিজেপি-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। সেই সঙ্গে চলছে আক্রমণ পালটা আক্রমণের পালা। শেষ কিছুদিন ধরে বিজেপির মুখ কে, তা নিয়ে লাগাতার গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে চলেছে শাসকদল। শুক্রবার সকালে তারই জবাব দিলে মেদিনীপুরের সাংসদ। বললেন, বিজেপির ১০০ টা মুখ।
এরপরই তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওদের তো একটাই মুখ, সেটাও আবার এখন দুর্মুখ। সবাই বলছে পিসির পার্টি। কেউ আর বলে না দিদির দল। আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে এদিনও দিলীপ ঘোষ বলেন, আগামী বছর বাংলায় সরকার গড়বে ভারতীয় জনতা পার্টিই। অভিযোগ করেন, তৃণমূল রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থে। সৌগত রায়কে ইঙ্গিত করে এদিন বালি থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, “লজ্জা করে না! টিএমসির বুড়ো নেতারা অন্যের বউকে নিয়ে ছবি তুলছেন, নির্লজ্জ! শেষ বয়সে এত পাপ করবেন না সৌগতবাবু। আপনার ঘর সংসার রয়েছে, অন্যের বউ চুরি করবেন না। বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে আপনার।
যত সময় এগোচ্ছে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব ততই তীব্র হচ্ছে। বঙ্গ সফরে এসে শাসকদলকে নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নবান্ন থেকে তাঁর পালটা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা। একইভাবে একের পর এক পালটা দিয়ে চলেছেন শুভেন্দুও। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রীর তৃণমূল যোগ নিয়েও একপ্রস্ত টানাপোড়েন চলেছে। সব মিলিয়ে একুশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির ময়দান।
Be the first to comment