শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের চেষ্টা করলেন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকরা ৷ যার জেরে ফের উত্তেজনা ছড়ালো হেস্টিংস চত্বরে ৷ যদিও পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুর গাড়ির কাছে পৌঁছতে পারেননি তৃণমূল সমর্থকরা ৷ দ্রুত বেরিয়ে যায় শুভেন্দুর গাড়ি ৷
এদিনই হেস্টিংসে বিজেপিতে যোগদানকারী নতুন নেতাদের নিয়ে Rকলকাতার হেস্টিংস-এর বিজেপি অফিসে বৈঠক ডাকা হয়েছিল ৷ বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের সংবর্ধনারও ব্যবস্থা করা হয় ৷ ওই সভায় হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও কিন্তু সভা শুরুর আগেই সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা ৷ রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাংসদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয় ৷ এই ঘটনা দেখে এগিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা ৷ দু’ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি ৷ কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ ৷ দু’ পক্ষকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশবাহিনী ৷
এদিন বিজেপির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, ভাবতে লজ্জা লাগে একুশ বছর এই দলটা করেছি ৷ এরপর বৈঠক শেষে শুভেন্দু যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তাঁর গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল সমর্থকরা ৷ স্লোগানও দেওয়া হয় ৷ যদিও পুলিশের তৎপরতায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয় ৷
এদিন হেস্টিংস-এ বিজেপি অফিসের অদূরেই পথসভার জন্য মঞ্চ তৈরি করে তৃণমূল ৷ সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকরা৷ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের পরেই গার্ডরেল দিয়ে এলাকা ঘিরে দেয় পুলিশ ৷ বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যাও ৷
Be the first to comment