কোনও রাষ্ট্রনেতা যদি অসদোপায়ে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করেন, তাহলে দেশের অকল্যাণ হয়। মনে রাখতে হবে লম্বা দাড়ি রেখে হলুদ জামা পরলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা ও দুষ্কৃতী বলে আক্রমণ করেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি দেখা যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অমর্ত্য সেনের বাড়ি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অমর্ত্য সেন সহ অনেকেই বিশ্বভারতীর জমি দখল করে আছেন ৷ এই অভিযোগে সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ এর তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী । অমর্ত্য সেনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ অমর্ত্য সেনকে কারও দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার বার্তা দেন । এই বিষয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তরজা তুঙ্গে। এবার এই বিষয় নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, মিথ্যাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা দেশটাকে একটা হার্মাদ বাহিনীর আস্তানা হিসাবে তৈরি করেছেন । সেটা উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা দেখলেই বোঝা যায় ।
সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মসূচি “দুয়ারে সরকার”-এর প্রশংসা করেন তিনি । তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গেই নারীরা সবথেকে বেশি সুরক্ষিত। কৃষি আইন নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন ,ইতিমধ্যেই ৪৫ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে । গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিজেপি । অগণতান্ত্রিকভাবে কৃষি আইন পাস করানো হয় ।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষকেও আজ আক্রমণ করেন তিনি । বলেন, “একজন হিংসাশ্রয়ী দলের হিংসাশ্রয়ী মানুষ । লেখাপড়ার সার্টিফিকেট নাকি ভুয়ো । পড়াশোনা জানেন না । সংস্কৃতি জানেন না । তিনি তো একজন গুন্ডা । একজন গুন্ডা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। উনি প্ররোচনা দিয়ে বাংলায় অশান্তির চেষ্টা করছেন । সবচেয়ে আগে ওঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত । যেভাবে খুনের হুমকি দিচ্ছেন , আমি বলতে পারি উনি একজন দুষ্কৃতী।
Be the first to comment