নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের পাশে আগেই দাঁড়িয়েচিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ। আগামিকাল রবিবার বাংলা অ্যাকাডেমির সামনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সেই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মোদী-বিরোধিতার সুর আরও চড়া। শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’-র সীমানায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিও ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই ঘটনা জেনেই স্বাভাবিকভাবেই বিব্রত নোবেলজয়ী বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির সীমানার মধ্যেই বিশ্বভারতীর জমি ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে কোনওদিনও কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি। হঠাৎ করে এই অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে। যদিও আইনিভাবেই এই অবিযোগের তিনি মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল করে রেখেছেন অনেকেই, যে তালিকায় রয়েছেন অমর্ত্য সেনও। যা নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক। বিশ্বভারতীর একটি অংশ জমি জবরদখল করে রেখে বাড়ি বানানোর অভিযোগ আনা হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি বলেই জানান অমর্ত্য সেন।
তাঁর জবাব, ‘আমাদের কোনও চিঠি দেয়নি বিশ্বভারতী। কিছু জানাননি উপাচার্য। যার বাড়ি তাঁকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র বলা হচ্ছে, আমি মনে করি এতে ছোটোলোকামি আছে, যা ঢাকা যাচ্ছে না।
এদিকে অমর্ত্য সেন ইতিমধ্যেই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছেন। আপাতত তাঁর বাড়ি ‘প্রতীচী’ যে জমির উপর তৈরি সেখানকার লিজ নিয়েও কোনওরকম গন্ডগোল নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জেরেই তাঁকে এই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত অমর্ত্যবাবুর। শান্তিনিকেতনে ‘প্রতীচী’র জমি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, সেই বিষয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে শুক্রবার চিঠি লিখে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
Be the first to comment