বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফেরত নিচ্ছে রাজ্য সরকার । এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত এই রাস্তা প্রায় সময় বন্ধ করে দেওয়া হত বিশ্বভারতীর তরফে । এনিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন ধরে । আশ্রমিকরাও এই মর্মে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে ৷
আজ বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বভারতীকে রাজ্য সরকার যে রাস্তা দিয়েছিল, সেই রাস্তা ফের নিজেদের হেপাজতে নেওয়া হল । পূর্ত দপ্তরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাস্তাটি ।
এদিন ফের মমতা বলেন, ‘বিশ্বভারতী এখন বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে। অমর্ত্য সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকলেই আমাদের বাংলার গর্ব। আর এখন সেই বাংলার সংস্কৃতিকেই বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। আমাকে তো টার্গেট করছেই, অমর্ত্য সেনের মতো মানুষকেও নিশানা করা হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতির উপর আঘাত নেমে আসছে। আমি দেশের মানুষকে বহিরাগত বলছি না। কিন্তু বিজেপি এই সংস্কৃতি আমদানি করেছে। কিন্তু বারবার বলছি, বাংলার সংস্কৃতিকে টার্গেট করলে আমরা চুপচাপ থাকব না।’
যে ভাবে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অমর্ত্যের পারিবারিক যোগসূত্রকে কোনও কোনও মহল থেকে কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা চলেছে, তা নিয়েও আগেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে ‘শ্রদ্ধেয় অমর্ত্যদা’ বলে সম্বোধন করে তিনি লিখেছিলেন, ‘এই লড়াইতে আপনি আমাকে আপনার বোন ও বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন।
শান্তিনিকেতনে অর্মত্যের বাড়ি ‘প্রতীচী’র সামনে হকার উচ্ছেদ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতাদের একাংশ অমর্ত্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগও এনেছেন। এই গোটা বিষয়টিকে বাঙালির অপমান হিসেবেই দেখছেন মমতা।
Be the first to comment