রবিবারের বিকেলে তৈরি হওয়া জল্পনা সোমবার দুপুর থেকে আরও বাড়ল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রবিবারই ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সামনের সপ্তাহে রাজ্যপালকে নিজে ইডেন ঘুরিয়ে দেখাবেন ‘মহারাজ’। আর সোমবার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল সৌরভের।
সোমবার ডিডিসিএ’তে উন্মোচিত হল প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির মূর্তি। সেই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অমিত শাহ-পুত্র তথা বিসিসিআই সচিব জয় শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর–সহ আরও অনেকেই অর্থাৎ, পুরো গেরুয়া পরিমণ্ডলেই এদিন ছিলেন বাংলার ‘দাদা’।
যদিও রাজনীতিকদের সঙ্গে থাকলেও এদিন রাজনীতির প্রসঙ্গ এড়িয়েই গিয়েছেন সৌরভ। বরং ক্রিকেটের প্রতি অরুণ জেটলির প্যাশন ও অবদানের কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘অরুণ জেটলি বরাবরই ক্রিকেট প্রেমী মানুষ ছিলেন। যে কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারই আমার সঙ্গে একমত হবেন। ক্রিকেটে একজনের প্রশাসকের ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কারণ তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও সেটা বুঝেছি।’
সৌরভের সুর টেনে প্রায় একই কথা বলেন অমিত শাহও। তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেট খেলার সঙ্গে দু’ধরনের মানুষ যুক্ত থাকেন। একদল ক্রিকেট খেলেন আর একদল ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন। তাঁদের অনেক অবদান থাকে। এজন্যই আমরা অরুণ জেটলি জি’র এই মূর্তির উন্মোচন করছি।’
তবে, গোটা বিষয়টিকে শুধু ক্রিকেটীয় পরিমণ্ডলে আটকে রাখতে চাইছেন না রাজনৈতিক মহল। রবিবার সৌরভের সঙ্গে বৈঠকের ছবি দিয়ে ট্যুইটারে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, ‘নানা বিষয় নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনি আমাকে ইডেন গার্ডেনস ঘুরে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি।’ অপরদিকে, সৌরভ বলেন, ‘রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কখনও ইডেন গার্ডেন্স দেখেননি। পরের সপ্তাহে ওঁকে ইডেনে নিয়ে যাব।’ দুজনের দুরকম কথায় জল্পনা আরও বাড়ে।
Be the first to comment