রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল বাম ও কংগ্রেস। অবিলম্বে রাজ্য বিধানসভায় আস্থা ভোট ডাকার দাবি বাম-কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এব্যাপারে তৎপরতা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। আস্থা ভোট ডাকা না হলে প্রয়োজনে নবান্নে গিয়ে দরবার করার কথা জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
বিধানসভা ভোটের মুখে আরও চাপ বাড়ল শাসকদলের উপর। ভোটের ঠিক আগে একের পর এক বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এমনিতেই অস্বস্তিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূলের আরও কয়েকজন নেতা, মন্ত্রীও দল ছাড়তে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
বিরোধী বিজেপির দাবি, ভোটের আগে শাসকদলের বহু বিধায়ক, নেতা দল ছেড়ে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বিধানসভা ভোটের আগে তাই শাসকদলের উপর এবার চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগদরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আস্থা ভোট ডাকার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। এদিন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে মান্নান বলেন, তৃণমূলের দল থেকে অনেকে চলে যাচ্ছেন। কতজন যাচ্ছেন জানি না। কেউ বলছেন দেড়শোজন আসবেন, কেউ বলছেন একশোজন আসবেন। মন্ত্রীরা যাচ্ছেন, বলছেন আরও মন্ত্রীরা যাবেন। আবার কাউকে বলতে হচ্ছে আমি তৃণমূল ছাড়ছি না।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে। কী হচ্ছে? সরকার কি আস্থা হারিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, আপনার দাবি যদি সত্যি হয়, তৃণমূলে ব্যাপক হারে দলত্যাগ যদি না হয়, তাহলে আপনি বিধানসভায় আস্থা ভোট নিয়ে প্রমাণ করে দিন আপনার আস্থা আছে।
একই দাবি বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীরও। তিনি এদিন বলেন, সংখ্যা নেই বলেই কি সরকার বিধানসভার মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে? শাসকদলের বিধায়করা আমাদেরও বলছেন এতদিন ধরে কেন বিধানসভা ডাকা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কি পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই? আমাদের দাবি পূরণ না হলে নবান্নে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
Be the first to comment