উত্তরবঙ্গ সফরে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ দিনের এই সফরে উত্তরবঙ্গে দলের সাংগঠনিক শক্তি-বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য তৃণমূলের ‘যুবরাজ’-এর। সোমবার শিলিগুড়িতে পৌঁছেই দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক সেরেছেন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আজ আলিপুরদুয়ারে কর্মিসভা অভিষেকের।
পাখির চোখ বিধানসভা ভোট। উত্তরবঙ্গে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য। সোমবার উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি পৌঁছেই সেই বার্তা দিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে এক দফা বৈঠক সেরেছেন অভিষেক।
শিলিগুড়িতে দলের সংগঠন কীভাবে চলছে, আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে দলের সাংগঠনিস্তরে কী কী ভাবনা রয়েছে, তা তিনি জেনে নেন দলের নেতাদের কাছ থেকে। একইসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবনাও তাঁদের সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন অভিষেক।
পরে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও কযেক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তিনি। কোন্দল ভুলে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন অভিষেক। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। দিনভর সেখানে ঠাসা কর্মসূচি অভিষেকের।
আজ রাতেই শিলিগুড়িতে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে মূল কর্মিসভাতেই জোর দিচ্ছেন যুব তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। তবে আগামী বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে অভিষেকের।
গত লোকসভা ভোটের পর থেকে উত্তরবঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের একাধিক তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে জয় পেয়েছেন গেরুয়া দলের প্রার্থীরা। উল্টে সংগঠন ভেঙেছে তৃণমূলের। উত্তরবঙ্গের চা বাগান লাগোয়া এলাকাগুলিতে তৃণমূলের সংগঠনগুলিও হাত-বদল হয়েছে। উত্তরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। একথা ভালোই বুঝেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই এবার অভিষেকের উত্তরবঙ্গ সফর।
Be the first to comment