কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখনই আয়োজিত হচ্ছে না ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলা। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করলেন বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই এই মেলার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷
বইমেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা চাইছেন যে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে সুস্থ পৃথিবীতে হোক বইমেলা। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে বইমেলা আয়োজন করা হতে পারে। আর তার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে তৈরি তাঁরা। উল্লেখ্য, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলার থিম করা হয়েছিল বাংলাদেশ।
সুধাংশুবাবু বলেন, অতিমারির কারণে অনলাইনে আয়োজিত হয়েছে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা। প্যারিস বইমেলা এবং লন্ডন বইমেলা পিছিয়ে গিয়েছে। পিছিয়েছে দিল্লি বইমেলাও। বিদেশের সব জায়গা থেকে বিমান এখন চলছে না। তাই কলকাতা বইমেলায় বিদেশি অতিথিরা আসবেন কী ভাবে? এ বারের বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ বাংলাদেশের অতিথিদেরও এই পরিস্থিতিতে আসা সম্ভব নয়।
গত কয়েক বছর ধরে সল্টলেকে করুণাময়ী মোড়ের কাছে স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছিল। সুধাংশুবাবু জানান, কোভিডের কারণে বিধাননগর মেলা এ বছরে হচ্ছে না। গিল্ড সমীক্ষা করে দেখেছে, এই পরিস্থিতিতে বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিধাননগরে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করুন, এমনটা চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন–মরণের প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে এত বড় উৎসব করা উচিত হবে না। মেলা প্রাঙ্গনে এককালীন ১০০ জন করে প্রবেশ করানো বা ৭৫০ স্টলের মধ্যে কোনও স্টলের ভেতরে লোকজন ঢুকতে পারবে না, সেলফি নিতে পারবে না— এ সব করা সম্ভব নয়, অবাস্তব।’অতএব ২০২১–এর কলকাতা বইমেলার জন্য বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে বইপ্রেমী মানুষদের। পুরোটাই নির্ভর করছে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমার ওপর। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সে রকম হলে এ বছর নাও হতে পারে কলকাতা বইমেলা।
Be the first to comment