ওস্তাদের মার শুধু শেষ রাতেই নয়, মাঝ রাতেও হয়! বুধবার রাত ১২টা নাগাদ নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস উদযাপন করে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর আগাম সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে শহিদ মঞ্চে এসে দলত্যাগী শুভেন্দুকে নাম না করে কড়া বার্তা দিলেন সুব্রত বক্সি। সুব্রতবাবুর সাফ কথা, নন্দীগ্রামের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের আন্দোলন। আর সেই আন্দোলনের একজনই নেত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কথা ছিল ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধা জানাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তৃণমূলও নিজেদের মতো এই অনুষ্ঠান পালন করবে। তাই বৃহস্পতিবার এই স্মরণ সভা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির পারদ চরমে পৌঁছবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, সুব্রত বক্সিরা শহিদ বেদীতে মালা চড়ানোর অনেক আগেই মধ্যরাতে এসে শহিদ স্মরণ সেরে গিয়েছেন ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবছর তিনিই এই অনুষ্ঠানে হাজির থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। তবে, তৃণমূলের হয়ে। এ দিন ‘অরাজনৈতিক’ শুভেন্দু বলেন, আমি ছিলাম ,আছি, থাকবো। এখন সামনে নির্বাচন। তাই অনেকেই এখন আসবে। ভোটের জন্য আসবে বলা হয়েছিল, আমি নাকি শহিদ মিনারে ঢুকতেই পারবো না। আমাদের রক্ত চক্ষু দিয়ে রোখা যাবে না।
সুব্রত বক্সি: মমতা ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদী হামলায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। এটাই সন্ত্রাসমুক্ত বাংলার ছবি। ২৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা পঞ্চায়েতের লড়াই লড়েছেন। বাংলার মাটিতে মমতার উন্নয়ন প্রতিহত করতে দিল্লি থেকে কুৎসা, অপপ্রচারের মাধ্যমে মমতাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিন সুব্রত বক্সি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর ৬৩ টি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কাজ করেছেন মমতা। রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে চলে গেছেন। ভারতের ইতিহাসে প্রথম। একদিকে সংবিধান রক্ষার লড়াই, অন্যদিকে সংবিধান নষ্ট করার লড়াই চলছে। দিল্লির মসনদে পৌঁছবেন মমতা। এই নির্বাচন কেবল একটা সাধারণ নির্বাচন নয়। এ নির্বাচন সংবিধান রক্ষার লড়াই। দিল্লির মসনদ থেকে ওই সংবিধান বিরোধী দলকে হটাতে হবে।
সুব্রত বক্সি আরও বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলন নন্দীগ্রামের মানুষের। আর এই আন্দোলনের একজনই নেত্রী। তিনি হলেন মমতা। কেউ কেউ দাবি করেন এই আন্দোলন তার ব্যক্তিগত। গাছের দুটো পাতা ঝরলে গাছের ওজন কমে না। একথা মনে রাখা দরকার। তৃণমূল কোনও হেলিকপ্টারে এসে পড়েনি, ভুঁইফোঁড়ও নয়।
সুব্রত বক্সি বলেন, মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসের পতাকা নেওয়া যাবে না। কারণ, ওই দল টা নিজেদের পতাকা বামপন্থীদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ৬৩ টি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কাজ করেছেন। রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে চলে গেছেন। ভারতের ইতিহাসে প্রথম।
Be the first to comment