বৃহস্পতিবার সকালবেলায় শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন। শুভেন্দু চলে যাওয়ার পরে সেই শহিদ বেদী গঙ্গাজলে ধুয়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, নেতাইয়ের এই শহিদ স্মরণ মঞ্চ প্রথম থেকেই অরাজনৈতিক ছিল। সেই অরাজনৈতিক মঞ্চকে অরাজনৈতিক থাকতে দেননি শুভেন্দু। জয় শ্রীরাম স্লোগানে, গেরুয়া পতাকায় ভরিয়েছেন এলাকা। সেই কারণেই নেতাইয়ে শহিদ বেদী শোধনের পথ নিল তৃণমূলের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত এদিন নেতাই থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের কলকাতার নেতাদেরও বহিরাগত বলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, সমস্ত শহিদ বেদিই তাঁর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে। বলেন, যাঁরা কোনও দিন খোঁজ নিতে আসেননি তাঁরা আসছেন। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দিন কয়েক আগেও কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, শহিদ বেদীগুলো আমার বানানো। আমি প্রতি বছর শ্রদ্ধা জানাতে যাই। কোনওবার তো আসত না। শুনে ভালো লাগল এবার আসছে। আমি আমার ছেলেদের বলেছি, বেদী জল দিয়ে পরিষ্কার করে, ধুয়ে রাখতে। সেখানে না হয় ওরা শ্রদ্ধা জানাক। অতিথিদের যাতে অসুবিধা না হয় তা দেখতে বলেছি। কিন্তু দেখা গেল তৃণমূলই শোধনের পথ নিল সেই বেদির।
নেতাইয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও আসেন। শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মদন মিত্র। খুব বেশি রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, কাদা ছোড়াছু়ড়ি করতে চাই না। মানুষ উত্তর দেবে।
Be the first to comment