ক্ষমতা শেষের আগেই ট্রাম্প সরানোর আইন প্রয়োগ নিয়ে শুরু চাঞ্চল্য

Spread the love

থমথমে ক্যাপিটল হিল এলাকার মার্কিন সংসদ ভবন। জরুরি অবস্থা ও কার্ফু জারি হওয়ায় রাজধানী ওয়াশিংটন প্রায় থমকে। সংসদ ভবনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উন্মত্ত ভক্তদের হামলার ঘটনায় বিশেষ আইন ব্যবহার করে মেয়াদ শেষের আগেই ট্রাম্প বিদায়? উঠছে এই প্রশ্ন।

বিবিসি জানাচ্ছে, ক্ষমতায় আসতে চলা ডেমোক্র্যাটরা চাইলে, মেয়াদ শেষের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে। এটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এর জন্য দরকার মার্কিন সংসদের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ।

ওই সংশোধনী অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্ট ‘দায়িত্ব পালনে অক্ষম’ হলে মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া যায়। তবে তার জন্য ভাইস প্রেসিডেনন্টের নেতৃত্বে ভোটাভুটি প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্সি মাইক পেন্সের সহমতি দরকার।

বিবিসি জানাচ্ছে, ২৫ তম সংশোধনী প্রয়োগ করতে মরিয়া ডেমোক্র্যাটরা। এমনকি ট্রাম্প মন্ত্রিসভার কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্যও ডেমোক্র্যাটদের এমন উদ্যোগে সমর্থন দিতে পারেন। বুধবার মার্কিন সংসদ বা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর থেকে ২৫ তম সংশোধনী প্রয়োগ নিয়ে যুক্তি উঠে আসছে।

অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিমূলক ভাষণের পর তাঁর সমর্থকরা যে হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে সংসদ ভবনে তা গণতন্ত্রের উপর বিরাট আঘাত। এর পরে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে আর ট্রাম্পের থাকা সম্ভব না, তিনি অযোগ্য বলেই চিহ্নিত হয়েছেন।সিএনএন জানাচ্ছে, নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সংসদে স্বীকৃতিদান অনুষ্ঠানের সময় হামলা করে ট্রাম্পের সমর্থকরা।

এই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্পের উস্কানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরেই ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরা আলোচনায় বসেন। সেখানে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেন্স।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*