বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি মানে এই নয় যে সব দল নিজস্ব কর্মসূচি মটগেজ রাখবে। এভাবেই কড়া ভাষায় বাম সহযোগী এবং কংগ্রেসকে বার্তা দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সকলের নিজস্ব কর্মসূচি হবে। আবার যৌথ আন্দোলনও হবে। সিপিআই, আর এস পি, ফরোয়ার্ড ব্লক , কংগ্রেস সহ সকলেই নিজ নিজ দলের কর্মসূচি করবে বলে জানান বিমান বসু।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধ কর্মসূচি নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। আর সেই প্রসঙ্গেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের বার্তা, যৌথ কর্মসূচি থাকলেও, দলীয় কর্মসূচিও পালন করতে হবে। আর সেই মতো, বাম সহযোগী দল এবং কংগ্রেস পৃথক ভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করবে রাজ্য জুড়ে। এ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, তৃণমূলকে পরাস্ত করতে এবং বিজেপিকে হটাতে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। আর সেই মতো কর্মসংস্থান ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত প্রতিবাদ আন্দোলন করবে বাম এবং কংগ্রেস।
অন্যদিকে, রাজ্যের ১১২ টি পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৮ সাল থেকে গত বছরের মধ্যে। কিন্তু পৌরসভার নির্বাচন করার জন্য রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অথচ দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করছে এ রাজ্যের সরকার। মানুষকে বিব্রত করছে। চলতি জানুয়ারি মাস জুড়ে মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি নেবে বাম ও কংগ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।
চলতি মাস জুড়েই হবে আন্দোলন। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে বাম-কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে যৌথ প্রচার চালাবে রাজ্যজুড়ে। সব জেলায় এবং ব্লকে আন্দোলন কর্মসূচি হবে বলে জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজীর হত্যা দিবসে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment