মুখ পুড়েছে গোটা বিশ্বের কাছে। ধিক্কার জানাচ্ছেন সমস্ত তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। ঘরে-বাইরে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পাল্টি খেয়ে শান্তির পথে থাকার ভিডিও বার্তা পোস্ট করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক। তাঁর অনুগামীরা-সমর্থকরা যেন নিজেদের সংযত করেন এবং হিংসার পথ থেকে সরে আসেন, সেই অনুরোধও করেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্টের আসনে বসবেন নতুন প্রশাসক। আমি চাই মসৃণভাবে, শান্তিপূর্ণ ভাবে, শৃঙ্গলা মেনে ক্ষমতার হস্তান্তর হোক। প্রসঙ্গত, বুধবার মার্কিন প্রশাসনে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেনের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প সমর্থকদের ভয়াবহ হিংসা, রক্তক্ষয়ী আক্রমণের ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এমন হিংসার পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি। ট্রাম্পের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে ট্রাম্প ভক্তরা ওই হামলা চালিয়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত সকলে।
এ বারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটছে ২৩২টি ভোট আর বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ভোট। অথচ যে দিন থেকে ভোটগণনা এবং নির্বাচনী ফলাফল সামনে এসেছে ট্রাম্প কারচুপির অভিযোগ তুলে এসেছেন। একাধিক মামলা করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব একটা কিছু করে উঠতে পারেননি। এর পরেই বুধবারের একটি জনসভায় ট্রাম্প জিগির তোলেন, আমরা পিছু হটব না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, এরপরেই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। পরে অবশ্য তাদের শান্ত হওয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ট্যুইটারে। ছোট ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, গো হোম। ভক্তরা তাঁর কথা শোনেনি। কিছুতেই আটকানো যায়নি তাদের। ক্যাপিটাল বিল্ডিং আক্রমণের পর পরিস্থিতি সামাল লেগে গিয়েছে ৪ ঘণ্টা। এই মুহূর্তে সেনেটাররা দাবি তুলছেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের। ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল সুনিশ্চিত করা নিয়ে বৈঠক চলছিল ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে। সে সময়ই বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ঢুকে পড়ে বিল্ডিংয়ের মধ্যে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, নিরাপত্তারক্ষীদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ভিতরে ঢুকে আসে তারা। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে এক মহিলা-সহ চার বিক্ষোভকারী মারা গিয়েছে।
Be the first to comment