শুধু ভারত নয়, দেশে তৈরি ভ্যাকসিন পৌঁছবে বন্ধুরাষ্ট্রও : নরেন্দ্র মোদী

Spread the love

দেশে তৈরি দুটি ভ্যাকসিন ভারতকে আত্মনির্ভরতার চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড দেশের গর্ব। এই বার্তায় আগেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এক বার্তায় মোদী বলেন শুধু দেশের সীমানায় আটকে থাকবে না ভারত। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বন্ধুরাষ্ট্র গুলির দিকেও। যে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন, সেই দেশে পৌঁছবে ভারতে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন।

প্রবাসী ভারতীয় দিবস কনভেনশনে যোগ দিয়ে মোদী বলেন এর আগে লকডাউন চলাকালীন একাধিক রাষ্ট্রে ভারতে তৈরি পিপিই কিট, চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছেছে। মানবতার খাতিরে ভারত সর্বদা অন্যান্য রাষ্ট্রকে সাহায্য প্রস্তুত। এরআগে যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল দেশ, তখন ভারতকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে। ভারতই প্রথম রাস্তা দেখায় প্রতিবাদের।

প্রধানমন্ত্রীর দাবি দেশের মানুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। কিছুদিন আগেই এই দুটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তাই ২০২১ সালের শুরুতেই আত্মনির্ভরতার গতি বেড়েছে ভারতে। তার পিছনে দেশে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন দুটির অবদান অসামান্য। নিজের দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের জন্য মাথা উঁচু হয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসীর। এমন কেউ নেই, যিনি এই পদক্ষেপে খুশি হননি, গর্বিত হননি।

ভারতে ইতিমধ্যেই এমার্জেন্সি অথরাইজেশন বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে অক্সফোর্ডের ‘কোভ্যাক্সিন’ যা ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি হয়েছে ও ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভিশিল্ড।’ ফলে এগুলি যে খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষকে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবে, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। মোদী বলেন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেশের নিজের ভ্যাকসিন। দেশকে আরও স্বাতন্ত্রতা দিয়েছে, আত্মনির্ভর বানিয়েছে এই দুই ভ্যাকসিন।

এদিকে, ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হচ্ছে, সেদিকেই উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছে দেশের মানুষ। আর শনিবারই সেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফে। এদিন জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।

এছাড়া ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার অর্থাৎ যারা সামনের সারিতে থেকে করোনার মোকাবিলা করছে, তাদের আগে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। এরকম অন্তত ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কর্মীদের পর ভ্যাক্সিন পাওয়ার তালিকায় থাকবেন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরা ও ৫০-এর নীচে যাদের কো-মর্নিবিটি আছে তারা। এদের সংখ্যা মোট ২৭ কোটি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*