দু’কোটি মানুষের ‘দুয়ারে’ পৌঁছে গিয়েছে ‘সরকার’, টুইট করে উচ্ছ্বসিত মমতা

Spread the love

দেড় মাসেরও কম সময়ে দু কোটি মানুষের ‘দুয়ারে’ পরিষেবা-সহ পৌঁছে গিয়েছে সরকার৷ টুইট করে এই সাফল্যের কথা তুলে ধরে ফের রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে যখন মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই এক কোটি মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তখনও টুইটাকে উছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দু’মাস ধরে তা চলার কথা। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, ঠিক ৩৯ দিনের মাথায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল ২ কোটি।এর মধ্যে অবশ্যই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের গ্রাহকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে কোন সরকারি প্রকল্পে কতজন সুবিধা পেলেন, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৬২ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র ‘স্বাস্থ্যসাথী’র সুবিধা পেয়েছেন। তপসিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে এই ক্যাম্প থেকে। এছাড়া ৪ লক্ষ চাষি ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। টুইটে পরিসংখ্যান-সহ পরিষেবার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া শিবির থেকে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, আদিবাসীদের জন্য ‘জয় জহর’ প্রকল্পেরও সুবিধা পেয়েছেন অনেকে।

রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। এই প্রকল্পে ১০ কোটি মানুষকে কার্ড বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাদ যাননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

সূত্রের খবর, শনিবার নবান্নে সরকারি আধিকারিকের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে জেলাগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক নার্সিংহোমকে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতেও প্রচার করা হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*