উত্তরপ্রদেশের পর এবার মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। এই নিয়ে দেশের মোট নয় রাজ্যে মিলল বার্ড ফ্লুর সন্ধান ৷ মহারাষ্ট্রের পার্বনী বার্ড ফ্লুর কেন্দ্রস্থল। গত দু’দিনে প্রায় ৮০০টি পোল্ট্রির সমস্ত পাখি ও মুরগির মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে বার্ড ফ্লুর কারণেই পাখিগুলির মৃত্যু ঘটেছে ৷ ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর দীপক মধুকর মুগলিকার একথা জানিয়েছেন ৷
পার্বর্নী মুম্বই থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷ তিনি আরও বলেন, মুরুমবা গ্রামে বার্ড ফ্লু ধরা পড়েছে। এখানে প্রায় আটটি পোল্ট্রি ফার্মে প্রায় ৮ হাজার পাখি রয়েছে । আমরা এই পোল্ট্রির পাখিদের মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। আগেই উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও গুজরাতে বার্ড ফ্লুর খোঁজ মিলেছে।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয় যে এই রোগটি “জুনোটিক” ধরনের ৷ তবে এদেশে মানবশরীরে এর সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্র থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে ২০০৬ সালে প্রথম এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের বালোদ জেলার কয়েকটি এলাকা থেকে হাঁস-মুরগি ও অন্য বুনো পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে আসে। অন্যদিকে দিল্লিতেও সঞ্জয় লেক থেকে বেশ কিছু হাঁসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে ৷ মহারাষ্ট্রেও অনেক আগেই বাড়তে শুরু করে বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক। মুম্বই, থানে, দাপোলি, পারভানি ও বিদ জেলা থেকে কয়েকটি মৃত কাকের নমুনা ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিওরিটি অ্যানিমেল ডিজ়িজ়েসে পাঠানো হয়েছে। রাজস্থানের ১১টি জেলায় বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। জয়পুর, ঝুনঝুনু, টঙ্ক, সাওয়াই মাধোপুর, শ্রীগঙ্গানগর, যোধপুর, পালি, কোটা, বুন্দি, বারন ও ঝালাওয়ার থেকে পাখির মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ৷
বার্ড ফ্লুর আতঙ্কের জেরে বাজারে মুরগির মাংস ও ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে কমেছে ৷ রাজস্থানের একাধিক বাজারে ৭০ টাকা কিলো দরে মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমে হয়েছে ৫০ পয়সা। তবে এখনও পর্যন্ত মুরগির শরীরে বার্ড ফ্লুর কোনও সংক্রমণের খবর মেলেনি রাজস্থানে।
Be the first to comment