দিল্লি যাচ্ছি না, দিদির সঙ্গেই আছিঃ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন শতাব্দী

Spread the love

দিল্লি যাচ্ছি না, দিদির সঙ্গেই আছি ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর শতাব্দী যে সন্তুষ্ট সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শতাব্দী রায় সাংবাদিকদের বললেন,’সব অভিযোগ জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতিতে আসা। দিদির পাশেই আছি। দিল্লি যাচ্ছি না।’

শনিবার দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শতাব্দী রায়ের। তার আগে জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী বলেন,’অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।’ এরপরই শতাব্দীর মানভঞ্জনে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন দুপুরেই শতাব্দী রায়ে আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে কুণাল ঘোষকে পাঠায় তৃণমূল। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়।  শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাও।

এদিন সন্ধ্যেয় কুণালই  শতাব্দীকে নিয়ে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে। সেখানে ঘণ্টা দুয়েক বৈঠকের পর শতাব্দী বলেন,’আমার সব অভিযোগ অভিষেককে জানিয়েছি। তার সমাধান হয়ে যাবে। আমি রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে এসেছিলাম। এখনও মমতার সঙ্গে আছি।’কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,’শতাব্দী দলেই থাকছেন।’

বৃহস্পতিবার বিকেলেই শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাবের ফেসবুক পেজে একটি বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী সাংসদ৷ সেখানে দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী৷ তিনি বলছেন, “আমি যখন ২০০৯ সালে সাংসদ হই, তখন সবাই বলেছিল আমি স্টার, কোনোও রাজনীতিবিদ নই, আমি পারফর্ম করতে পারব না৷ কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছি ৷ আজ মানুষ আমায় জিজ্ঞাসা করে আমাকে কেন আমার সংসদীয় এলাকাতে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আমার নিজের দোষ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে৷ সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমার এলাকায় দলীয় কোনও ইভেন্টে আমাকেই ডারা হচ্ছে না। কাউকে তো আবার বলাও হচ্ছে দলের অনুষ্ঠান আয়োজন করলে আমায় যেন ডাকা না হয়৷ আমার কোনও অক্ষমতা থাকলে আমি উত্তর দেব, যেখানে আমাকে কাজই করতে দেওয়া হচ্ছে না, তার দায়ভার কেন নেব। সাংসদ এও জানান যে আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন তিনি। এরপরই তাঁর দলবদলের জল্পনা তীব্র হয় ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*