শুরু হওয়ার একদিন পরেই বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ করোনা টিকাকরণ

Spread the love

১৬ই জানুয়ারি শুরু হয়েছিল দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি। তার একদিন পরেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হল এই প্রক্রিয়া। প্রথম দফায় ১,৯১,১৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৬,৭৫৫জন বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নিরাপত্তা আধিকারিক, অতিরিক্ত ৩৪২৯ জন ভারতীয় সেনার আধিকারিক।

তবে বিশেষ কয়েকটি কারণে বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই মাস ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ। এর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, ওডিশা, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি।

মহারাষ্ট্র
শনিবারের পর থেকে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। মহারাষ্ট্রেরর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে জানুয়ারি মাসের ১৭ ও ১৮ তারিখ, এই দুই দিন বন্ধ রাখা হবে এই প্রক্রিয়া। কো-উইন অ্যাপে কিছু ত্রুটি পাওয়া যাওয়ায় টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর।

ওডিশা
টিকাকরণ বন্ধ ওডিশাতেও। রাজ্য সরকার জানিয়েছে শনিবার যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, আগে তাঁদের ওপর ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কীনা, তা আগে দেখা হবে। তারপরে নতুন করে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু করবে ওডিশা। রাজ্যে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) জানিয়েছে রবিবার শুধু স্থগিত রাখা হয়েছে এই প্রক্রিয়া। সোমবার থেকে আবার তা চালু করা হবে।

হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশে কোউইন অ্যাপে সমস্যা মেলায়, টিকাকরণ কর্মসূচিতে বাধা পড়েছে বলে খবর। একই সমস্যার কথা শোনা গিয়েছে কর্ণাটক থেকেও।

কেন্দ্রের ছাড়পত্র নিয়ে শনিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ৷ গত ৩ জানুয়ারি কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন, জোড়া টিকায় অনুমোদন দেয় কেন্দ্র৷ শনিবার সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেন।

রাজ্যে-রাজ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া হয়। শহর কলকাতার ১৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া আপাতত চলবে। একই সঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক করে মোদী বলেন, টিকা নেওয়া মানে এই নয় যে, মাস্ক পরা বা দূরত্ববিধি ভুলে যাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*