হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

Spread the love

মাননীয়া নন্দীগ্রামে দাঁড়ান । হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

 নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী তথা কাঁথির অধিকারী পরিবারকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গেই আছেন বলে বারবার দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু সেখানে মানুষ সত্যিই তাঁর পাশে যে আছেন, তা এবার ভোটের ময়দানেও তা প্রমাণ করতে হবে শুভেন্দুকে ৷ কারণ, গোটা ব্যাপারটা তাঁর কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হল ৷

এরপর বাংলার রাজনীতিতে অনেক পট পরিবর্তন হয়েছে ৷ মমতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে শুভেন্দুর ৷ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন ৷ বিজেপিতে আসার আগে অবশ্য নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচিতে বারবার নাম না করে নিজের দলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু ৷ ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে ভুলে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷

এমনকী, তিনি বিজেপিতে যোগদানের পর ৭ জানুয়ারি তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা ছিল নন্দীগ্রামে ৷ সেই সভা বাতিল হয় ৷ তা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন শুভেন্দু ৷ ফলে সোমবার জবাব দেওয়ার সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৷ তাই তিনি নাম না করে বারবার শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন ৷ বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে অনেকে বড় বড় কথা বলছে । নন্দীগ্রামের সঙ্গে আমার আত্মার টান । নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জায়গা নয় । স্যালুট করার জায়গা । নাম না করে অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন মমতা৷ তাঁর দাবি, টাকা বাঁচাতে অনেকে বিজেপিতে যোগদান করছেন৷ বলেছেন, তোমরা প্রধানমন্ত্রী হও৷ তোমরা রাষ্ট্রপতি হও৷ কিন্তু দয়া করে বাংলাকে বিক্রি করতে যেও না ৷

শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ছোটো ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছেন ৷ কিন্তু শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন ৷ রাজনৈতিক মহল বলছে, তাই সরাসরি নাম না করে আক্রমণের পথে হেঁটেছেন মমতা ৷ একই সঙ্গে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামকে তিনি ভালোবাসেন ৷ নন্দীগ্রাম বরাবর তাঁর জন্য ভালো জায়গা৷ তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, এই নন্দীগ্রাম থেকে নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হল ৷ পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রামের জন্য কী কী করেছেন সেটাও জানিয়েছেন ৷ কিন্তু একেবারে সভার শেষে তিনি ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ৷

যাকে মমতার মাস্টার স্ট্রোক হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল কারণ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি ৷ শুভেন্দু নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে পরের ভোটে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণে নন্দীগ্রামই তাঁর জন্য প্রথম পছন্দ ৷ তাই, মমতার ঘোষণার পর শুভেন্দু কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ৷

তবে সন্ধেয় রাসবিহারীতে মমতাকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে আমি কিংবা অন্য যে কেউ বিজেপির প্রার্থী হোক না কেন, মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারাব ৷ আর তিনি যদি তা না পারেন, তবে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়ে দেন শুভেন্দু ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*