মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাগবাজারে ভস্মীভূত ‘হাজারি বস্তির’ নামকরণ করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন ৷ সূত্রের খবর, ওই বস্তির নতুন নাম হবে ‘মমতা কলোনি ৷ ওই জায়গায় ১০৮ টি ঘর তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
বুধবার রাতে বাগবাজারের ওই বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার সেই এলাকা পরিদর্শন করে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যাঁরা যেখানে যেমন ভাবে ছিলেন, তেমন ভাবেই থাকবেন। কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে আগের মতো সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের অবিলম্বে ৫ কেজি চাল-ডাল- আলু, বিস্কুট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের জামাকাপড়, কম্বলও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম এবং শশী পাঁজাকে।
বুধবার তখন সন্ধে সাড়ে সাতটা। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তি। উত্তুরে হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। ফলে অল্প কিছুক্ষণেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এক ঘন্টার মধ্যেই বস্তির সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়। এই বস্তির পাশেই রয়েছে মায়ের বাড়ির অফিস ঘর। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে গিয়েছে অফিসের আসবাবপত্র। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ২৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিধ্বংসী আগুনে ছাদহারা হয়েছে বহু মানুষ।
উল্লেখ্য, পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে গিয়েছেন, যতদিন না তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাগবাজারের উইমেন্স কলেজের ফাঁকা ক্লাসরুমেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি এখন তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্বও সরকারের বলে জানিয়েছেন মমতা। ওই এলাকায় পুর-প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ফুটপাতের এই বস্তিতে বিদ্যুতের সংযোগ আসে। বাসিন্দাদের জন্য তৈরি করে দেওয়া হয় গণ শৌচালয়। বস্তিতে জলের সংযোগও যায় তখনই। তবে বস্তিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে অনেকে আমাদের টাকা নিয়ে উঠে যেতে বলেছিলেন। আমরা যাইনি। অন্য কোথাও যাব না।
Be the first to comment