করোনা ভাইরাস মুক্ত মনেই আদপে রোগমুক্তি না।করোনা সেরে যাবার পরেও ফুসফুস তেমনটাই জানাচ্ছে।করোনা পরবর্তী নিউমোনিয়া বেশ মারাত্বক হচ্ছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তেমনটাই প্রণাম হলো অকালে চলে গেলেন দুই চিকিৎসক প্রতিপ বন্দোপাধ্যায় ও যাদব চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও করোনা পরবর্তী ফুসফুসের দুর্বলতা কাটাতে না পেরে প্রাণ হারালেন শহরের ২জন নার্স।
প্রখ্যাত হোমিপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ প্রতিপ বন্দোপাধ্যায় এক মাস আগে আক্রান্ত হন করোনায়।
সম্প্রীতি তিনি মারা যান বেলভিউ হাসপাতালে।হাসপাতালের সিইও প্রদীপ ট্যান্ডন জানান ” কভিড সেরে গেছিলো প্রতিপ বাবুর কিন্তু এই ভাইরাস ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল ফুসফুস কে।
শীতের এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের আপার ট্রাকে সংক্রমণ হয় , সেখান থেকেই নিউমোনিয়া।
বেলভিউ তে যখন তিনি আসেন ওনার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন ছিল ,শ্বাস নিতে পারছিলেন না । একমো সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল কিন্তু এই সাপোর্টে দেওয়ার আগেই প্রতিপ বাবু প্রাণ হারান।
অপরদিকে একই ভাবে প্রাণ হারালেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ যাদব চট্টোপাধ্যায়।৩৭ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি প্রথম ৭দিন তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই ভর্তি ছিলেন এর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মেডিকা তে ভর্তি করে সেখানে তিনি একমো সাপোর্টে ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা হচ্ছিল একমো সাপোর্টের মাধ্যমে কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
কেন এই কভিড পরবর্তী নিউমোনিয়া এত সাংঘাতিক ?এই ভাইরাস ফুসফুসের বাইরের দিকের এপিথেলিয়াল কোষে গায়ে লোমশ অংশে সৃষ্টি করছে আঠালো পদার্থ। যা সহজে সরানো যাচ্ছেই না।ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ধীমান গাঙ্গুলি জানান ” ফুসফুসকে দুর্বল করেদিচ্ছে করোনা।এর থেকে সেরে উঠে অনেকেই বিধি নিষেধ মানছেন না ।এই দুর্বল ফুসফুসে বাসা বাঁধছে নিউমোনিয়া। ফুসফুস আদতে স্পঞ্জের মতো কোষ গুলো ভর্তি থাকে হওয়া দিয়ে। গ্যাস ভর্তি বেলুনের মত এই ফুসফুস করোনা পরবর্তী নিউমোনিয়া খুবই কঠিন হয়ে যায়। ধীমান বাবু আরও বলেন ” শীতের মরশুমে আচমকাই মাঝে দু এক দিন তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।যারা কভিড থেকে সেরে উঠেছে তাদের ফুসফুস এখন দুর্বল ।এমন আবহাওয়ায় ফুসফুসের উপরের ট্রাকে সংক্রমণ হতে পারে”।ফলে অত্যন্ত সাবধানেই থাকতে হবে এই সময় সকলকে এমন বার্তাই দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।
Be the first to comment