কেশপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমূল নেত্রী কথায় কথায় নন্দীগ্রাম, কেশপুরের কথা বলেন। ভোটের সময় আসেন, তারপর পগারপার। লকডাউনে তৃণমূলের কোনও সাংসদ-বিধায়ককে দেখা যায়নি।
কেশপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন? এসেছেন উনি? উনি বলছেন পচা জিনিস তৃণমূল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। যদি পচাই হবে, তাহলে এত কাঁটা ফুটছে কেন? নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর।
অন্যদিকে, শুভেন্দু বলেন কেশপুরে কি সত্যিই পরিবর্তন হয়েছে। একটা সময় সিপিএম এখানে যা বলতো তাই হতো। এখনও কি বদলেছে? এরপরেই শুভেন্দু বলেন, পুলিশ যাদের হাতে থাকে কেশপুর তাঁদের হাতে থাকে! এটাই দীর্ঘদিন ধরে চলে এসেছে এখানে। তবে এবার বদলাবে বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার। ভোটের সময় আসে ওরা ভোট হলেও পগারপাড়।
কেশপুরের সভা থেকে বামপন্থীদের কাছে শুভেন্দুর আবেদন বিজেপিকে ভোট দিন। তিনি বলেন, কেশপুরে অনেক বামপন্থী থাকেন। তাঁদের বলছি ভোট দিন বিজেপিকে। আমরা ছাড়া কেউ ওদের হারাতে পারবে না বলে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর মতে, বিধানসভা ভোটের পর ফের কংগ্রেস, সিপিএম করবেন। সবাই এখন বিজেপি।
পাশাপাশি কেশপুরের জনসভা থেকে তৃণমূলকে চোর বলেও আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘গরু চোর এনামুল, তার নাম তৃণমূল। লকডাউনে চাল চোর, আমফানে ত্রিপল চোর, এখন আবার টিকা চোর। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ককে টিকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর সেই বিষয়টি সামনে তুলে এনে শাসকদলকে আক্রমণ করলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন এই বিধায়ক।
অন্যদিকে কেন ২১ বছর বছর পর তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু সে বিষয়টিও জানালেন তিনি। বিজেপি নেতার সাফ বক্তব্য, কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। একই সঙ্গে ফের একবার তৃণমূলকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দুর মিছিলে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। কার্যত সেই ভিড় থেকে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দুর মন্তব্য, খারাপ দিন আসছে তৃণমূলের। বিজেপি যে ক্ষমতায় আসছে মানুষের উৎসাহতেই তা ধরা পড়ছে বলে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।
Be the first to comment