যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন, তৃণমূল তাদের বলছে অচল মুদ্রা। তবে বৃহস্পতিবার কেশপুরের সভা থেকে বিজেপি নেতার যুক্তি, পচা মাল যদি বেরিয়ে যায় তাহলে এত লাফাচ্ছেন কেন? কাঁটা ফুটছে কেন? বোঝাই যাচ্ছে নাম না করে আরও একবার তাঁর একদা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা বা পুরুলিয়া সফর, শুভেন্দুর কটাক্ষ তৃণমূলের সামগ্রিক তৎপরতা নিয়েই।
কেশপুর সম্পর্কে শুভেন্দুর বিশ্লেষণ, বহু আঘাতে ক্ষত বিক্ষত। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়া কেশপুর। পুলিশ যাদের হাতে থাকে কেশপুর তাদের হাতে থাকে এটা প্রবাদ। যদিও কেশপুরে কোনও বদল হয়নি।
সেদিন তৃণমূলকে জেতেতে মরিয়া ছিলেন যে শুভেন্দু সেই আজ বলছেন, ভোট লুট না হলে ঘাটালে ভারতী ঘোষ জিতত। এ দিন শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, লকডাউনে এই অঞ্চলে কোনও বিধায়ক সাংসদদের দেখা যায়নি। অবস্থা পরিবর্তনে শুভেন্দু বামেদের ভোটও চাইছেন। এদিন তিনি বলেন. এবার বিজেপি জিতবে। সরকার হবে। এখানের বামপন্থীদের বলব ভোট আমাদের দিতে।
বামফ্রন্ট, কংগ্রেস বিধানসভা ভোটের পরে করুন। এখন ভোট অবধি বিজেপি করতে হবে। ৫৬ সিট পরিষ্কার করব।
এদিন মন জিতে শুভেন্দুর স্লোগান ছিল ১৯ এ হাফ, ২১ এ সাফ। চেনা মেজাজেই শুভেন্দু বলে গেলেন তৃণমূল সরকার টিকা নয়ছয় করছে। তার অভিযোগ.মমতা বন্দ্যপাধ্য়ায় কেশপুরে আসন না। কেন্দ্রের প্রকল্পই নাকি রাজ্য নিজের নামে চালাচ্ছে।
শুভেন্দুর সভা ঘিরে এদিনও উচ্ছ্বাস ছিল ব্যাপক। মানুষ তাঁর তালে তালও ঠুকলেন। কিন্তু ভোট এখনও বহুদূর, কতটা প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে এই ঝড় তোলার, সেটাই দেখার।
Be the first to comment