যাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে চান, তাঁরা দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত নিন ৷ সোমবার পুরশুড়ার সভা থেকে সরাসরি দলের বিদ্রোহী নেতানেত্রীদের এই বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী মমতা বলেন, আমরাই ছিলাম, আমরাই থাকবো ৷
তৃণমূলনেত্রী এ দিন দাবি করেছেন, যাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাউকেই আগামী নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট দিত না৷ দলত্যাগীদের নিয়ে যে তিনি চিন্তিত নন, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে এবং বাইরেও সেই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে যাঁরা দল ছাড়ছে তাঁদের কাউকে আর ফিরিয়ে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা ৷
যদিও দলত্যাগীর সংখ্যা যেমন তৃণমূলে বাড়ছে, সেরকমই দলের অন্দরে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্রোহের সুর ৷ এ দিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গরহাজির ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ৷ এ দিন পুরশুড়ার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, যাঁরা লাইন দিয়ে আছেন তাড়াতাড়ি চলে যান ৷ ট্রেন ছেড়ে দেবে ৷ বাংলা আপনাদের চায় না, তৃণমূল আপনাদের চায় না ৷ এখন গিয়ে কী পাবে, নির্বাচনের তো একমাস বাকি ৷ তৃণমূল তোমাদের টিকিট দিত না তাই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছ ৷ যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেছে তাঁদের তৃণমূল টিকিট দেবে৷ যাঁদের করেনি তাঁদের দেবে না৷’ বিজেপি-কে ফের ওয়াশিং মেশিন বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘দু একজন পালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে ৷
অনেক টাকা করেছে, ভাবছে টাকাগুলো কোথায় রাখব, বিজেপিতেই রাখি ৷ চোর গুলো যাচ্ছে, আর বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিনে স্নান করে নিচ্ছে৷ তবে যাঁরা যাচ্ছে তাঁরা ফিরতে চাইলেও আমরা আর তৃণমূলে নেব না ৷ কাকে কাকে নিতে হয় আমরা জানি ৷
এদিন পুরশুড়ার সভা থেকে হুগলি জেলার ১৮টি আসনেই তৃণমূলকে জেতানোর জন্য আবেদন জানান তৃণমূলনেত্রী ৷ মমতা বলেন, আমাদের কোনও ভুল হয়ে থাকলে আমি নিজে সেটা দেখে নেব ৷
Be the first to comment