বেসুরো একের পর এক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই। তবে সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন হাওড়ার একাধিক বিধায়ক-মন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন লক্ষ্মী-রাজীবের মতো নেতৃত্ব। মুখ খুলে দলের চক্ষুশূল বৈশালী ডালমিয়া।
বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বে বিদ্রোহে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। এই অবস্থায় ‘বিদ্রোহী’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা তৃণমূলের। জানা যাচ্ছে, রাজীবকে ফোন করেছেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার।
জানা গিয়েছে, ফোনে তৃণমূলের ওই শীর্ষ নেতা রাজীবকে জানিয়েছেন, আপাতত দল না ছাড়তে। কার্যত অনুরোধ-ই করেছেন বলে খবর। একই সঙ্গে তিনি নাকি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। আর তিন মাস রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করেননি রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী।
তবে আজ মঙ্গলবার ইঙ্গিতপূর্ণ একটি মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ডোমজুড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোদ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে বলছি, ভোটে লড়লে ডোমজুড় থেকেই দাঁড়াব।
কারণ এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মীক সম্পর্ক।’ কিন্তু প্রশ্নটা হল, কোন দলের হয়ে দাঁড়াবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের না বিজেপির? সদ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন রাজীব। তবে তিনি এখনও সরকারিভাবে তৃণমূলেই রয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন রাজীব৷
এর পরেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীবকে ডোমজুড় থেকে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন৷ ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রটি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে৷
এ দিন ডোমজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজীব বলেন, ‘ডোমজুড়ের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক৷ আগামী দিনে ডোমজুড়ের মানুষ বুঝিয়ে দেবে কে তাঁদের পরিবারের সদস্য আর কে বাইরের লোক ৷
Be the first to comment