প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ জন্য বাংলার মানুষ কিছুতেই তাঁকে ক্ষমা করবে না। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রেখে এ কথা বললেন অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কথা ছিল তিনি আসবেন। তবে শেষ মুহূর্তে সেই সম্ভাবনা ভেস্তে যাওয়ায় ঠিক করা হয়েছিল ডুমুরজলায় বিজেপির জনসভায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন বিজেপির চাণক্য হিসেবে পরিচিত অমিত শাহ। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যে আসা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির বক্তব্য রাখার পর, রবিবার অমিত ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে শুরু থেকেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন তিনি। বলেন, ১০ বছর আগে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে এসেছিলেন মমতা। এতে বিশ্বাস করে বাংলার মানুষ পরিবর্তন এনেছিলেন। কিন্তু এই ১০ বছরে মা মাটি মানুষের স্লোগান অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। বামেরা যেখানে ছেড়ে গিয়েছিল, তার থেকেও বাংলার অবস্থা আরও খারাপ করে দিয়েছেন মমতা দিদি। আপনি বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। মানুষ আপনাকে ক্ষমা করবে না। বাংলার গরিব যে পরিবর্তন চেয়েছিল তা আপনি দিতে পারেননি।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে কাজ করবে, কিন্তু এই সরকারের ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। আয়ুষ্মান ভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনে অমিত শাহ এ দিন বলেছেন, রাজ্যে তৃণমূলের সরকার মোদীর সঙ্গে ঝামেলা আছে বলে এই বিরাট প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
অমিতের কথায়, মমতাকে জিজ্ঞাসা করব, বাংলার গরিবরা কী দোষ করেছে? মোদি প্রকল্প করেছে বলেই এটা আটকে দিলেন? চিন্তা করবেন না। বিজেপির সরকার এলে প্রথম ক্যাবিনেটে প্রস্তাব করব আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধে যাতে সবাই পায় তার ব্যবস্থা করতে। রাজ্য সরকার কৃষকদেরও প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলার কৃষকদের প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা পাওয়া উচিত। মমতার সরকার একটি কাগজ পাঠিয়ে বলেছে তারা তা নিতে রাজি। কিন্তু কৃষকদের কোনও তথ্য পাঠায়নি, অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ কোনও তথ্য পাঠায়নি। কোথায় টাকা পাঠাবে কেন্দ্র। এই কারসাজি মানুষ বোঝে। এটা কৃষকদের প্রতারণা করা।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের যে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর প্রতি বিদ্রুপ করে অমিত শাহ বলেন, মমতা দিদি, একদিন আপনি পিছনে তাকিয়ে দেখবেন, কেউ নেই, আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন।
এ দিন ফের বাংলার মনীষীদের নাম নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ সুযোগ দিলে নেতাজির স্বপ্ন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কল্পনাকে পূরণ করে সোনার বাংলা তৈরি করব।
Be the first to comment