অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটই লক্ষ্য, রাজ্যের তিন নির্বাচনী আধিকারিককে সরালো কমিশন

Spread the love

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। ভোট-প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের তিন নির্বাচনী আধিকারিককে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। এঁদের একজন আইএএস পদমর্যাদার অফিসার। বাকি দু’জন ডব্লিউবিসিএস ক্যাটাগরির অফিসার।

বাংলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা ভোটের বাকি আর কয়েক মাস। সম্ভবত এমাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজ্য ঘুরে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল-বেঞ্চ।

ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার-সহ তাঁর ডেপুটিদের। করেনাাকালে বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করা এবার বাড়তি চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। সেই কারণেই এবার বুথের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে।

রাজ্যে এসে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। কমিশনের কর্তাদের নানা অভিযোগ জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও।

একদিকে বিরোধী দলগুলি যেমন শাসকদলের বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ জানিয়েছে, তেমনি তৃণমূলও পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে কমিশনের কাছে। অবাধ ভোট করতে চেষ্টার কসুর করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছিল কমিশন। এবার সেই তৎপরতাই ফের চোখে পড়ল।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের তিন আধিকারিককে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এঁদের একজন আইএএস পদমর্যাদার অফিসার। বাকি দু’জন ডব্লিউবিসিএস ক্যাটাগরির অফিসার। সরানো হয়েছে অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মনকে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এবং আইন শৃঙ্খলা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সরানো হয়েছে যুগ্ম সিইও অনামিকা মজুমদারকেও। ইভিএম এবং ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরই পাশাপাশি ডেপুটি সিইও অমিত জ্যোতি ভট্টাচার্য্যকেও সরিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মূলত মিডিয়া সেল এবং ভোট প্রচার সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন তিনি। এদিন দিল্লির সিইও অফিসের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*