বাজেটের আগেই আমজনতার হাতে বাড়তি নগদ তুলে দেওয়ার সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু সরাসরি সেই পথে হাঁটেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেজন্য নয়া দশকের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘দিশাহীন এবং বিভ্রান্ত’ বলে কটাক্ষ করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
সোমবার সংসদে সীতারামনের প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের দীর্ঘ বাজেটে আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করা হয়নি। তবে ক্ষুদ্র করদাতাদের স্বার্থে কয়েকটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন সীতারামন। যদিও কেন্দ্রের সেই নীতির তীব্র কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী।
তাঁর বক্তব্য, এবারের বাজেটকে ‘পেপারলেস’ (কাগজহীন) বাজেট বলা হচ্ছে। কিন্তু আদতে এটা দিশাহীন এবং বিভ্রান্ত বাজেট। মানুষের যে চাহিদা বাড়াতে হবে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের অভ্যন্তরে তেমন কোনও তাগিদই ধরা পড়েনি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মডেলেও সেই সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে শুধু জোগান বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করছে মোদী সরকার। পরিবর্তে মানুষের হাতে সরাসরি নগদ অর্থ তুলে দিলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত।
স্বভাবতই বাজারে জোগান বৃদ্ধি পেত। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ কেইনসের নীতি তুলে ধরেন অমিত। যে অর্থনীতিবিদ বাজারে মন্দা কাটানোর দাওয়াই হিসেবে চাহিদা বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন।
যদিও কেন্দ্রের দাবি, পরিকাঠামো খাতে অর্থ জোগানের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্প শেষ হলে শুধু কর্মসংস্থান মিলবে, তা নয়। বরং গোড়া থেকেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাতে যুক্ত থাকবেন। ফলে করোনাভাইরাসের জেরে যে কাজের আকাল তৈরি হয়েছে, তা সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে। মানুষের হাতে টাকা আসবে। বাড়বে ক্রয়ক্ষমতা। তাতে ভর করে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।
Be the first to comment