ঝুলে থাকা ১০১টি আসন নিয়ে আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি ফের বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস ৷ কংগ্রেসের তরফে বর্ষীয়ান সাংসদ প্রদীপ ভট্টচার্য জানিয়েছেন, ১৩০টি আসনের দাবি থেকে তারা সরছেন না ৷
জোটের আসন ভাগাভাগি কিছুটা এগিয়েছে বাম–কংগ্রেস৷ ২৮ জানুয়ারি ১৯৩টি আসনে আসন সমঝোতা সম্পন্ন করেছে তারা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১০১টি আসনে লড়বে বামেরা। আর ৯২টি আসনে লড়বে কংগ্রেস। আসন ভাগাভাগিতে আপাতত এগিয়ে রয়েছে বামেরা। যদিও তিন জেলা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করে বাম-কংগ্রেস জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।আসন সোমঝোতা নিয়ে প্রথম ধাপের বৈঠকে ২০১৬–র নির্বাচনে জোটের ঝুলিতে আসা ৭৭টি আসনের ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বাম–কংগ্রেস। ঠিক হয় যে, ৭৭টি আসনের মধ্যে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কংগ্রেস এবং ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেবে বামেরা। আর এদিনের বৈঠকে আরও ১১৬ টি আসন নিয়ে চূড়ান্ত হল সমঝোতা। অধীর চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন, এই ১১৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পাচ্ছে ৪৮ ও বামেরা পাচ্ছে আরও ৬৮টি আসন।
কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি ১৩০টি আসনের দাবি করেছিলেন, যা মেনে নেওয়া হয়নি বামেদের তরফে। কংগ্রেসের ১৩০ আসনের তালিকায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বেশিরভাগ আসন রয়েছে। যা নিয়ে আপত্তি তোলেন বাম নেতারা। তাঁদের দাবি, ওই জেলাগুলিতে বামেদেরও ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। তাই কিছু আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে হবে। এই নিয়েই তরজা শুরু হয় উভয় পক্ষের।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বামেদের ১৬টি শরিক দল। তাদের সবাইকে নিয়েই জোটে লড়তে হবে। ফলে জোট শরিকদের সকলের দাবি মেনে তাদের আসন ছাড়তে হবে। তাই সবদিক বজায় রেখে বামেদের পক্ষে জোট সফল করার বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে বামেরা এই মুহূর্তে ১০১টি আসনে লড়বে। তবে শরিকদের দাবি মেনে আরও আসন তাদের ছাড়তে হতে পারে।
২৯৪টি মধ্যে এখনও ১০১টি আসন ভাগাভাগি বাকি রয়েছে। এদিকে, আব্বাস সিদ্দিকি নতুন দল ঘোষণা করেছেন। সূত্রের খবর, বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর কথাও বলছেন তিনি।
Be the first to comment