বাংলার মানুষ দিদিকে নমস্কার জানিয়ে দিয়েছে৷ দিদিকে টাটা বলে দিয়েছে ৷ বাংলায় এবার কমল ফুটবেই, পুরাতন মালদার সাহাপুরে প্রায় ৩২০০ কৃষকের উপস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসী এই মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ৷ আজ তিনি বিভিন্ন ইশুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন৷ কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ নাড্ডার বক্তব্যে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় কিছু প্রকল্পের কথাও৷
এগিয়ে আসছে একুশের ভোট৷ ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল৷ ভোটের মুখে আজ মালদা সফরে আসেন জেপি নাড্ডা৷ আজ, শনিবার তাঁর সফরের লক্ষ্য ছিল চাষিরা৷ নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা সময় পর মালদায় নামে তাঁর চপার৷ প্রথমে তিনি যান কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ রিসার্চ সেন্টার৷ সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে সোজা সাহাপুরের ময়দানে চলে যান তিনি৷ সেখানে তখন অপেক্ষা করছেন প্রায় ৩২০০ কৃষক ৷
তাঁদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “বাংলার কৃষকরা আমাকে তাঁদের সঙ্গে সহভোজ করার সুযোগ দিয়েছেন ৷ তার জন্য ধন্যবাদ৷ প্রায় ৪০ হাজার গ্রামসভায় কৃষক সুরক্ষা অভিযান কর্মসূচি চলবে ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ কৃষককে এই অভিযান কর্মসূচির মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে৷ ৩৩ হাজার গ্রামে আমরা পৌঁছোতে পেরেছি৷ প্রায় ৩০ হাজার গ্রামসভায় এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে ৷
এই রাজ্যে মমতাদিদি কৃষকদের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক কৃষককে বছরে ছ’হাজার টাকা সম্মাননিধি দিচ্ছেন৷ কিন্তু দিদি শুধুমাত্র ইগোর জন্য সেই প্রকল্প এখানে চালু হতে দেননি৷ তাই এই রাজ্যের ৭০ লাখ কৃষক এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ৷ তাঁরা দু’বছরে ১৪ হাজার টাকা পাননি ৷ এখন যখন রাজ্যের ২৫ লাখ কৃষক সরাসরি কেন্দ্রের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধে পেতে আর্জি জানিয়েছেন, তখন দিদির টনক নড়েছে ৷
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একের পর এক মন্তব্য করতে শুরু করেন নাড্ডা৷ তাঁর নিশানায় ছিলেন অভিষেকও৷ তিনি বলেন, “দিদি, ভোট চলে এসেছে৷ এখন আপনি কিছু বললেই সামনে থেকে জয় শ্রী রাম ধ্বনি ওঠে৷ মমতাদি কো ইতনা গুস্সা কিউ আতা হ্যায়৷ কৃষকদের স্বার্থ দেখলে তাঁকে এই দিন দেখতে হত না৷ কৃষকদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে বাংলার স্থান ২৪তম ৷ এখানে সেচ ব্যবস্থা নেই, কৃষিপণ্য রাখার গুদাম নেই৷ প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে এক লাখ কোটি টাকা দিয়েছেন যাতে কৃষকরা আত্মনির্ভর হতে পারেন৷ এবার ভোট হবে ৷
তিনি বলেন, ‘‘মমতাদিদিকে টাটা, নমস্কার৷ এখন যেখানে যাই, সেখানেই পিসি আর ভাইপোর হাত জোড় করা ছবি দেখতে পাই৷ বাংলার মানুষ মমতাদিকে, ভাইপোকে নমস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন৷ সব কিছুর চোর কে, তা সবাই জানেন৷ কাটমানি কে নেয়, কৃষকরা জানেন৷ মোদীজি কৃষিখাতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন৷ মধুচাষিদের জন্য ন্যাশনাল হানি মিশন তৈরি করেছেন৷ কৃষকদের জন্য ট্রেনের বন্দোবস্ত করেছেন৷ এই রাজ্যে ১৬৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন৷ এই টাকায় দু’টি করিডর নির্মাণ করা হবে৷
Be the first to comment