কনকনে শীত নেমেছে যেমন ঠিক তেমনই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নেমেছে মানুষের ঢল। সকাল থেকে সন্ধ্যা ঠাসা ভিড়ে জমজমাট চিড়িয়াখানা। ডিসেম্বর প্রায় শেষের দিকে সামনেই নতুন বছর সময়টাই ঘোরাবেড়ানোরই আর সেই উদ্দেশ্যেই সকাল থেকে একরাশ মানুষের ঢল নামছে আলিপুরের চিড়িয়াখানায়।
ইতিমধ্যে শীতে চিড়িয়াখানায় এসেছে নতুন অতিথিরা। সাদা চিতা, কাঙ্গারু, মাউস হরিণ, জাগুয়ার, আগে এসেছিল সিংহ, হাতি, সহ আরও কিছু নতুন পাখি। তবে সাদা চিতা ও ক্যাঙ্গারুর আগমন নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছে চিড়িয়াখানা জুড়ে। আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রায় দেড়শো বছরের ইতিহাসে ক্যাঙ্গারুর আগমন নতুন কিছু নয়। কিন্তু কোনওদিনই কলকাতার আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি অষ্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশুরা। ফলত কলকাতার উত্সুক ক্যাঙ্গারু দর্শক তাদের বেশিদিন দেখতে পায়নি। ক্যাঙ্গারুর পাশাপাশি এসেছে দুটি এশিয়াটিক সিংহ ও দুটি জাগুয়ারের মতো হিংস্র প্রাণীও।২ সাদা চিতা বেশ খোশমেজাজেই রয়েছে ভিতরে। এছাড়াও চার-চারটি নতুন অ্যানাকোন্ডা এসেছে।
বাঘ, চিতা, সিংহ, হাতি, জেব্রা, জিরাফ, হরিণ, কাকর, ভাল্লুক, কুমীর, শিম্পাঞ্জী, আসামের বাঁদর, রীস্যাস বাঁদর, বেনেট বাঁদর, চাইনিজ সিলভার ফেজাল্ট, লজ্জাবতী বাঁদর, হনুমান, সাদা ঘুঘু, হারগিলা, টিয়া, ক্রাউন্ড ক্রেন, হায়না, দেওদারিক, কোয়েটার প্যারকীট, রিভস ফেজাল্ট, শামুকখোল, ককটিল, ব্ল্যাক সোয়ান, বার হেডেড গুজ, ভোঁদড়, লুটিনো প্যারাকীট, ইমু, গন্ডার, হিপোপটেমাস, ধনেশ পাখি, কাকাতুয়া, বক, সাদা ময়ূর, ময়ূর, শজারু, বেবুন, দেওদারিক, পেটেন্ড স্টর্ক, চাইনিজ সিল্জার, ম্যাক্সিকান প্যারট, কৃষ্ণসার, অ্যানাকোন্ডা, পাইথন, ছাড়াও বহুরকমের সরীসৃপ এছাড়াও বিভিন্ন পশুপাখি সরীসৃপে জমে উঠেছে শীতের চিড়িয়াখানা।
Be the first to comment