মসনদে বসতে হলে উত্তরের মন ফেরাতেই হবে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জে অবতীর্ণ বলেন নতুন আখ্যানকে অস্ত্র করে। বিজেপিকে বিঁধলেন রথযাত্রা নিয়ে। বললেন, মানুষের টাকায় দশতারা হোটেল ওটা, বিজেপি কালিমালিপ্ত করছে রথের সঙ্গে জড়িত দেবদেবীদের।
জনসংযোগ বাড়াতে বিজেপির ফোকাস এখন রথযাত্রা। সেই রথযাত্রাকে এগিয়ে দিতে এসেছেন জে পি নাড্ডা, আসতে চলেছেন অমিত শাহ-যোগী আদিত্যনাথরাও। খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই মমতা আজ আক্রমণ করলেন সেই রথযাত্রাকেও। যেভাবে বাক্যবাণ শানালেন তাতে প্রস্তুতির ছাপ পরিষ্কার। মমতা শুরুই করলেন, ওঁ নীলাচল নিবাসায় নিত্যায় পরমাত্নণে বলভদ্র সুভদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমো স্লোগান দিয়ে। বললেন, আমরা দেখেছি দেবদেবতারা রথ চড়েন। আর ওঁরা দশতারা হোটেল-রথ তৈরি করে ভোগের জিনিস দিয়ে ভরে রথযাত্রার করছে।
মমতার কথায়, “যাঁরা রক্ত নিয়ে খেলে তাদের মুখে ধর্মের কথা মানায় না।আমি নিজে রথের রশিতে টান দিই। বিজেপির ভোগের রথে যারা আছেন তারা জগন্নাথ বলরাম শুভদ্রা থেকেও বড়?”
নাম না করে মমতা জে পি নাড্ডাদের বলছেন, রথবাবু, আর বিজেপির রথ দশতারা হোটেল। সেখানে ব্যবস্থা সম্পর্কে মমতার উবাচ, “রথে বিরিয়ানি মাংস কাবা ছানার পোলাও খাওয়া হছে। গানা বাজানাও চলছে। দশতারা হোটেল।” মমতার যুক্তি, জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে অসম্মান করছেন বিজেপি।
প্রতিদিনই উন্নয়ন প্রকল্পে তৃণমূল সরকার কী ভাবে কাজ করেছে তা নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে দেন মমতা। আজ অবশ্য সেই রুটিন কথার পাশে ইউএসপি ছিল রথ। ধাপে যুক্তি দিচ্ছিলেন মমতা। বলছিলেন, “আমরা দেখেছি যুদ্ধে রথ ব্যবহার হয়েছে। ওরা কি যুদ্ধক্ষেত্রের কৃষ্ণ? দেবতারা গিয়ে এরা এল!” মমতার ভাষায়, “১০ তলা সমান রথ তৈরি করে তারা রথযাত্রার নাম করে নানা রকম রথযাত্রা করে যাচ্ছেন”
মমতার এ দিনের কথাতেও দলত্যাগীদের জন্য ছিল তীব্র কটাক্ষ। তাঁর স্পষ্ট যুক্তি, তৃণমূলে কাজ করলে তবেই টিকিট পাওয়া যাবে। আত্মবিশ্বাসী মমতার কথায়, ত্যাগীরাই চালাবে তৃণমূল।
Be the first to comment