নিজের কেন্দ্রেই দলের মেগা ইভেন্টে ডাক পাননি কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কোচবিহারে অমিত শাহের সভা-মঞ্চে দেখা গেল না মাসখানেক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিহির গোস্বামীকে। বিধানসভা ভোটের মুখে যা নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। তবে সভামঞ্চে না থাকলেও সভাস্থলে এদিন দেখা গিয়েছে মিহিরবাবুকে।
শাহী-সভামঞ্চে মিহিরবাবুর মতো নেতার অনুপস্থিতি ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি মহলে। ইতিমধ্যেই তাঁর এই ডাক না পাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন মিহিরবাবু। তাঁকে সভায় সঠিকভাবে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে দাবি তাঁর। যদিও পরে বিষয়টি জানার পর তৎপরতা নেন খোদ অমিত শাহই। পরে তাঁকে পাশে বসিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন অমিত শাহ।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি একরাশ অভিমান-ক্ষোভ থেকেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের হাত ধরেই মিহিরবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার আগে মিহিরবাবুকে দলে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেব বহুবার মিহিরবাবুর মান ভাঙাতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবু শেষমেশ বিজেপিতেই যোগ দেন মিহির গোস্বামী।
বৃহস্পতিবার তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাধীন কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে বিজেপির প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। এদিনের সভা মঞ্চে দেখা মেলেনি মিহির গোস্বামীর।
মিহিরবাবুর দাবি, দলের তরফে তাঁর সঙ্গে আজকের সভায় থাকা নিয়ে সঠিকভাবে কোনও কিছু জানানো হয়নি। পরে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে স্থানীয় বিজেপি নেতাদেরই কয়েকজন তাঁকে বুঝিয়ে সভামঞ্চে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এতেও ক্ষোভ কমেনি। মঞ্চে ওঠেননি মিহির গোস্বামী।
মিহির গোস্বামীর এই ক্ষোভ কানে যেতেই তৎপরতা নেন অমিত শাহব নিজেই। পরে মিহিরবাবুকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খোদ অমিত শাহের এই উদ্যোগে খানিকটা হলেও রাগ পড়ে মিহিরবাবুর। পরে তিনি বলেন, ‘‘কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণেই এটা হয়েছিল।’’
Be the first to comment