কাল বাংলা বনধ, স্কুল খুলবে কিনা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

Spread the love

করোনা আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল৷ অবশেষে ১২ ফেব্রুযারি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর৷ ঘটনাচক্রে ওই দিনই বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বামেরা ৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুল খুলবে কিনা,তা নিয়ে দেখা দেয় ধোয়াশা৷ বিষয়টি পরিস্কার করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীর্ঘ প্রায় এগারো মাস পর আগামীকাল শুক্রবার থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতেপঠনপাঠন শুরু হওয়ার কথা৷ কিন্তু নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বামেরা৷

তবে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এতদিন পঠনপাঠনের জন্য সবাই উদ্বিগ্ন ছিল৷ ছাত্রছাত্রীরা মধ্যামিক- উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের কী হবে, তাদের প্র্যাক্টিকাল ক্লাস কীভাবে হবে, এসব না ভেবে যদি তাঁরা বনধ ডাকেন তার জন্য আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করব না৷ আমরা আগামিকাল থেকে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করেছি৷ বনধ ডাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের শুরু করবেন, তাতে সব রকম সাহায্য করতে আমরা তৈরি৷

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোভিড প্রোটোকোল মেনে নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকদের একাংশ।

অভিভাবকদের আবেদনের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হবে স্কুল। অন্যান্য ক্লাসের ক্ষেত্রে আপাতত পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসেই মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে এখন সব কিছুই প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। খুলে গিয়েছে সরকারি, বেসরকারি অফিস থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মক্ষেত্র। লকডাউনের পর্ব ভুলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে মানুষ। করোনা-বিধি মেনে চলছে সব কর্মকাণ্ড। করোনার জেরে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাসের পর মাস ধরে অনলাইন ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা।

শিশু শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকস্তর পর্যন্ত অনলাইনেই ক্লাস চলেছে এতদিন। একটানা স্কুল বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। একইসঙ্গে অন্য ক্লাসের পড়ুয়ারাও দিনের পর দিন বাড়িতে থেকে বিমর্ষ হয়ে পড়ছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে যার প্রভাব পড়ছে খুব বেশি। দিনের পর দিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় মন খারাপ কচিকাচাদের। এই পরিস্থিতিতে কোভিড প্রোটোকল মেনে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্তে খুশি অনেকেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*