শুক্রবার ১৬টি বাম সংগঠন এবং ছাত্র পরিষদ ও যুব কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতালে সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা স্বাভাবিক রাখতে মরিয়া ছিল রাজ্য প্রশাসন ৷ বৃহস্পতিবার বাম-কংগ্রেসের তরফে এই কর্মসূচি ঘোষিত হওয়ার পর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের অর্থ দপ্তর ৷
কিন্তু সরকারি তথ্য মোতাবেক, এদিন দুপুর একটা পর্যন্ত নবান্ন ও বিধাননগরের রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে গড় হাজিরা ছিল ৯৬ শতাংশ। অন্য়ান্য় দিনও মোটামুটি এরকমই হাজিরা থাকে কর্মী-আধিকারিকদের৷
শুক্রবার সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অর্থ দপ্তর। তাতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্য়েক কর্মী ও আধিকারিককে নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে ৷ নির্দেশ না মানলে কাটা যাবে বেতন ৷ পাশাপাশি, কোনও কর্মী এদিন ‘ক্য়াজুয়াল লিভ’ বা অর্ধদিবস ছুটিও নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই বিবৃতিতে৷
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার ৷ তারপর থেকেই যে কোনও হরতালে রাজ্য সরকারি অফিসে হাজিরা স্বাভাবিক রাখতে কঠোর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীনেত্রীর আসনে থাকাকালীন এই মমতাই কথায় কথায় হরতাল ডাকতেন ৷
Be the first to comment