একুশের মহাযুদ্ধের মুখে তৃণমূলে ফের ভাঙন! দল থেকে অব্যাহত চাইলেন বারাসতের বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি চেয়েছেন অভিনেতা। দলের বিধায়কের প্রস্তাবের পালটা মমতা জানিয়েছেন, এ নিয়ে পরে কথা বলব। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন চিরঞ্জিৎ।
চিরঞ্জিতের কথায়, অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে চাই। দলনেত্রীকে বলেছি, এবার আমায় অব্যহতি দিন। আমি নিজের জগতে ফিরে যেতে চাই। তবে একইসঙ্গে টলিউডের এই দক্ষ অভিনেতা জানিয়েছেন, তৃণমূলের হয়ে ভোটে না লড়লেও তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না।
এমনকি, তৃণমূল ছেড়ে দিলেও তিনি অন্য কোনও দলে যাবেন না।বিধানসভা ভোটের ঝোড়ো বাতাসে টলিপাড়ায় আপাতত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। প্রথাগত এবং পেশাগত রাজনীতিকদের চেয়ে তারকাদের নিয়েই মাতামাতি বেশি তৃণমূল এবং বিজেপির।
বস্তুত, বুধবার যখন চিরঞ্জিৎ ভোট না-লড়ার ইচ্ছার কথা ঘোষণা করছেন, তখন তার প্রায় কাছাকাছি সময়েই বিজেপি-তে যোগদান করছেন একঝাঁক টলি-তারকা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘পরিবর্তন’-এর সময় বারাসত থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোট লড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। একদা দূরদর্শনের সংবাদপাঠক দীপক চক্রবর্তী বাংলা ছবিতে ‘চিরঞ্জিৎ’ নামেই আবির্ভূত হয়েছিলেন। দক্ষ চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর পুত্র চিরঞ্জিৎ নিজেও ভাল ছবি আঁকতে পারেন। সেই সূত্রেই বুধবার তিনি বলেছেন, আমি যখন যা করি, মন দিয়ে করি। সিরিয়াসলি করি। যখন ছবি আঁকি, তখন যেমন মন দিয়ে আঁকি, তেমনই যখন রাজনীতি করি, তখনও সেটা মন দিয়েই করি। কিন্তু এখন আমার আর রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই। সেটাই দলনেত্রীকে বলেছি।
তবে চিরঞ্জিৎ প্রাথমিক ভাবে ২০১১ সালেও ভোটে দাঁড়াতে চাননি। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়, আমি অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগ্রাহী ছিলাম। রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই। ওঁর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগও ছিল। সেই সূত্রেই উনি আমায় ২০১১ সালে নির্বাচনে দাঁড়াতে বলেছিলেন। তখনও আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু উনি বলেছিলেন, সরকার গঠন করতে গেলে ১৪৮টা আসন দরকার। তাই আমার ভোটে দাঁড়ানোও দরকার। ওঁর কথায় আমি সেবার ভোটে দাঁড়াই এবং জিতি।
Be the first to comment