প্রিয়া রামানির পাশে আদালত, মানহানির মামলা থেকে মুক্তি

Spread the love

এম জে আকবরের করা মানহানির মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন প্রিয়া রামানি। বুধবার প্রিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লি আদালত জানিয়ে দিল সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া গণ্যমান্য ব্যক্তিও যৌন হেনস্থা করতে পারেন। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এর আগে সাংবাদিক প্রিয়া রামানি এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। রামানির অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন যে, ২৩ বছর আগে একটি হোটেলে যৌন হেনস্থা করেন এম জে আকবর। ২০১৮ সালে ১৭ই অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন আকবর। রামানির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন আকবর। সেই মামলার শুনানিতেই রামানির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিল্লি আদালত।

আদালত এদিন জানিয়েছে যৌন নির্যাতন কোনও মহিলা বা পুরুষের ব্যক্তি সম্মান ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভয়াবহ আঘাত হানে। জনপ্রিয় যে কোনও ব্যক্তিত্ব এই অপরাধ ঘটাতে পারে। একে লঘু করে দেখা অন্যায়। নির্যাতনের বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও কোনও মহিলার অধিকার রয়েছে, সে সম্পর্কে মুখ খোলার।

ভারতে যখন জোর কদমে শুরু হয়েছে মি টু আন্দোলন তখন তার আঁচ এসে পড়ে মোদীর মন্ত্রিসভায়৷ সাংবাদিক থেকে রাজনীতিতে আসা বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে ওঠে যৌন হেনস্তার অভিযোগ৷ ১৯৯৪ সালে সাংবাদিক থাকাকালীন মুম্বইয়ের একটি হোটেলে এক মহিলার ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ৷ সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই আরও মহিলা সাংবাদিকরা আকবরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন৷

অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছিলেন না দ্য এশিয়ান এজ পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক৷ অভিযোগকারী মহিলা সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন৷ উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফার জল্পনা৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আকবরকে পদ থেকে সরানোর প্রবল চাপ তৈরি হয় বিজেপির অন্দরে৷ সেই সঙ্গে বিরোধী দলগুলির চাপ তো ছিলই৷

একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কেন্দ্র। এম জে আকবরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সরকার জনমানসে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়। সেটি হল যৌন হেনস্তার বিষয়ে সরকার কড়া৷ কারোর ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে না৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*