গঙ্গাসাগরের জন্য একটাও পয়সা দিয়েছো, শাহকে পাল্টা আক্রমণ মমতার

Spread the love

বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগরকে আন্তর্জাতিক মেলার মর্যাদা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পৈলানের কর্মীসভায় বলেন, “গঙ্গাসাগর দেখতে গিয়েছেন বিজেপির একজন নেতা। তিনি নামেই দু’নম্বর। নাম বলব না। উনি বলেছেন, ‘গঙ্গাসাগর ইতনা খারাব’। কোথায় ছিলে। লোক যাওয়ার যোগ্য ছিল না। একটা পয়সা দিয়েছো? ৬-৭ বছর ক্ষমতায় রয়েছো। নোটবন্দি, ঘরবন্দি করেছো, এলপিজি, পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছো, দাঙ্গা করিয়েছো। আর কী করেছো।”

বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে তাঁর দক্ষিণ ২৪ পরগনা সফর শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন গঙ্গাসাগর পুজো দেন তিনি। এর পর বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করবে। গঙ্গাসাগরকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করবেন তাঁরা।

কাকদ্বীপে পরিবর্তন যাত্রায় সূচনায় এসে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগরকে ঢেলে সাজানো হবে। সারা বিশ্বে গঙ্গাসাগরের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। পুনর্নিমাণ করা হবে এখানকার মন্দিরের। সংক্রান্তির মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত করা হবে, এমনটাই আশ্বাস শাহের। অমিত শাহ এদিন বলছিলেন, “ভারতের পশ্চিমে আমার জন্ম, আজ পূর্বে যেখানে গঙ্গাসাগরে মিশেছে, তা দেখতে পেলাম তা আমার জন্য আনন্দের, গর্বের।” শাহ আরও বলেন, ‘কথায় বলে সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নমামি গঙ্গা প্রকল্পের অধীনে গোমুখ থেকে গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসে সেই প্রকল্প থমকে যায়। বিজেপি ক্ষমতায় এসে সেই প্রকল্প রূপায়ণ করবে।’

এদিন নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে বেলা ১টা নাগাদ গঙ্গাসাগরে পৌঁছন শাহ। প্রথমে সৈকত দর্শন করেন তিনি। এর পর যান কপিল মুনির মন্দিরে। সেখানে ভারতীয় দর্শনের আদি মুনির অর্চনা করেন তিনি। এর পর মন্দিকের পুরোহিতরা শাহের হাতে একটি লাল বস্ত্র তুলে দেন।

এদিন মোদী-শাহকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “এক পয়সা দেয়নি কেন্দ্র। আমফানের সময় নাটক করে ঘুরে গেলেন। বললেন ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কত কোটি নিয়ে যাচ্ছেন আর ১ হাজার কোটি টাকা দেখাচ্ছেন।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*