রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

Spread the love

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে তৃণমূলের কর্মীসভা সেরে ফেরার পথে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়৷ এরপরই বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেইসঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের আরও একবার প্রশ্ন তোলেন তিনি৷

এদিন জাকির হোসেনকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জাকির হোসেনের শারীরিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেছন, এটা পরিকল্পিত হামলা, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলার অবনতি নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা খারিজ করে ঘটনার পুরো দায়ভার রেলের উপর চাপিয়েছেন তিনি। এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, রিমোল কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ হলে এই মুহূর্তে এনআইএকে দিয়ে তদন্ত করা উচিত৷

জানা গিয়েছে, নিজের বিড়ি কারখানা থেকে বের হওয়ার পরেই আক্রান্ত হন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সূত্রের খবর, নিমতিতা স্টেশনে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করেই ছোড়া হয়েছে ওই বোমা। জাকির হোসেনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ঘটনায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ সেখানেই তিনি চিকিৎসাধী৷

এদিকে, বোমাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবিতে সবর হয়েছিল সবমহল। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছে বোম স্কোয়াডের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি। সেই কারণে ফরাক্কা-জঙ্গিপুর আজিমগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে নিমতিতা স্টেশন চত্বর।

মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা থেকে জঙ্গিপুরের ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*