একুশের মহাযুদ্ধের মুখে শাসক-বিরোধী বাগযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার ডানলপের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিশানা করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাজীব বলেন, ‘তিনি বলেছেন, তিনিই গোলরক্ষক। তিনি বুঝে গিয়েছেন, তাঁর মাঠে খেলার লোক নেই, গোল বাঁচাতে হবে। তাই উনি গোলরক্ষক।’
এরপরই প্রাক্তন দলনেত্রীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘উনি গোলরক্ষক হলে, আমরাও বড় বড় স্ট্রাইকার। কীভাবে গোল করতে হয় জানি।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একুশে একটাই খেলা হবে, আমি গোলরক্ষক। হারতে আমরা শিখিনি। আমাদের হারানো যাবে না।’ মমতার সেই বক্তব্যের পালটা যেভাবে সরব হলেন রাজীব, তা নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে, ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে এদিন ফের সোচ্চার হন রাজীব। এদিন ডানলপে প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে বলছে, রাজনীতি কি খেলার ময়দান? খেলা যদি কেউ খেলে বিজেপি খেলবে। যে খেলার মধ্যে দেখিয়ে দেওয়া হবে বাংলায় কীভাবে পরিবর্তন করতে হয়। রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ চাই না। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই’।
তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করে রাজীব এদিন এও বলেন, ‘ভাড়া করে ঠিকাদারকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।চেষ্টা করছেন, তৃণমূলের ভাবমূর্তি নিয়ে যদি কিছু করা যায়।’
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। এরপরই দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে সোচ্চার হন মমতা। কালনার সভায় মমতা বলেছিলেন, ‘কয়েকটি দুষ্টু গোরু দুর্নীতি ঢাকতে হাম্বা হাম্বা ডাকতে ডাকতে এখানে ওখানে যাচ্ছে। তাঁরা গিয়েছেন ভালো হয়েছে। পাপ বিদায় নিয়েছে।মা ছেলেদের লালনপালন করবে। তারপর মা যখন অসুস্থ হবে, মায়ের যখন প্রয়োজন হবে, তখন তাঁকে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালাবে। তুমি মায়ের সুসন্তান নয়, কুসন্তান।’ রাজীবের নাম না করে বন সহায়ক পদে দুর্নীতির তদন্ত চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। এই প্রেক্ষাপটে প্রায় রোজদিনই যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন রাজীব এবং বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে শাসক শিবির, তাতে বাংলায় ভোটের উত্তাপ বাড়ছে।
Be the first to comment