করোনার নয়া স্ট্রেইনে উদ্বেগ, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজার পার

Spread the love

দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। ভ্যাকসিন বাজারে এলেও করোনা থেকে নিস্তার মিলছে না। উদ্বেগ বাড়িয়ে আচমকাই দেশের কয়েকটি প্রান্তে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। নতুন স্ট্রেইন চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে বুধবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭ জন।

সিএসআইআর-সিসিএমবি-র একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতে ৭০০০ নয়া স্ট্রেন দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও স্ট্রেন তার মধ্যে খুবই ভয়ংকর।এ বার এই নয়া স্ট্রেনের কারণেই কি মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ শুরু করল দুই রাজ্যের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই দুই রাজ্য থেকে ৮০০ এবং ৯০০ নমুনা এই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাদের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, এই দুই রাজ্যে নয়া স্ট্রেনের জন্যই যে করোনা বাড়ছে, এমন কোনও তথ্য তারা হাতে পায়নি।

এদিকে, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরালা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ থেকে যাঁরা দিল্লিতে আসবেন, তাঁদের নেগেটিভ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। রাজ্যের যখন এমন অবস্থা, তখনও এক শ্রেণির মানুষ মাস্ক পরছেন না কিছুতেই। মার্শাল নামিয়ে, জরিমানা নিয়ে, লকডাউনের কথা বলেও তাঁদের মাস্ক পরানো যাচ্ছে না। এতে উদ্ধব প্রশাসন খুবই সমস্যায় পড়েছে। কী ভাবে এই ‘বেয়াড়া, অবাধ্য’ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে তারা।

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিং প্রশাসন ১ মার্চ থেকে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়ির অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ জন ও বাইরের জমায়েতে সর্বোচ্চ ২০০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। এ ছাড়াও বর্তমানে চালু থাকা সব বিধিই বহাল থাকছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*