দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মাটিতে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া গেরুয়াবাহিনী। এদিকে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ বলে ভোটপ্রচারে স্লোগান তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে ভোটমুখী বাংলায় ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ নামে নয়া কর্মসূচির সূচনা করতে চলেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার এই নয়া কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
ভোটের মুখে আজ রাতেই বাংলায় পা রাখছেন নাড্ডা। কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি দফতরে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর বিষয়ে মতামত নেবে পদ্মশিবির। সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনায় যেসব প্রস্তাব ও পরামর্শ উঠে আসবে, তা মাথায় রেখেই একুশের ভোটের ইস্তেহার বানাবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর এই রেওয়াজ চোখে পড়েছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেও। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেও একই পদ্ধতি নিয়েছিল কেন্দ্রের শাসকদল।
বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে দেখা করার কথা নাড্ডার। এছাড়াও এবারের সফরে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা তাঁর। পাশাপাশি গৌরীপুরে জুটমিল কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন BJP সভাপতি। ব্যারাকপুরে আনন্দপুরী কালীবাড়িতেও যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও মঙ্গল পাণ্ডের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একুশের মহাযুদ্ধে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ডাক দিয়েছেন মোদী-শাহরা। ভোটমুখী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মুখেও এই শব্দবন্ধ শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি অমিত শাহের ‘সোনার বাংলা’ শব্দবন্ধকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘২০১৪ সালে আপনারা ভোটে জিতেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনেও জিতেছেন। তাহলে সোনার ভারতবর্ষ গড়তে পারছো না কেন? সোনার অসম, সোনার ত্রিপুরা, সোনার উত্তর প্রদেশ, সোনার হরিয়ানা, সোনার মধ্যপ্রদেশ হচ্ছে না কেন? এখন মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে বলছে সোনার বাংলা গড়বে!’
Be the first to comment