বঙ্গ সফরে এসে শাসকদল তৃণমূলের প্রতি বার বার তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগে সরব হয়েছেন মোদী-শাহ থেকে নাড্ডা। সোমবার ডানলপের সভা থেকেও তৃণমূলকে নিশানা করে তোলাবাজি, কাটমানি তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, বাংলায় তো বাড়িভাড়া নিতেও কাটমানি লাগে।আজ সেই তোলাবাজি, কাটমানি প্রসঙ্গেই বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এপ্রসঙ্গে হাতিয়ার করলেন ডানলপ কারখানাকেই।
এদিন সাহাগঞ্জের সভা থেকে মমতা সুর চড়িয়ে বলেন, ডানলপ অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল রাজ্য় সরকার। কিন্তু কেন্দ্র সেটা করতে দেয়নি। কারণ, ডানলপ কর্তা রুইয়ার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
এরপরই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, “পবন রুইয়ার বাড়িতে তো ২ জন বিজেপি নেতা থাকেন। কে কে থাকেন, আমি জানি। যাওয়ার সময় দিলীপ যাদবকে বলে দিয়ে যাব আমি। এখানেও বলতে পারি, কিন্তু ওদের নাম মুখ আনতে আমার লজ্জা লাগে।”
একইসঙ্গে মোদীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘তৃণমূল তোলাবাজ হলে, আপনি দাঙ্গাবাজ’। তোপ দাগেন, গ্রামের মানুষরা ‘৫-১০ টাকা’ নেওয়াকে তোলাবাজি বলে থাকে। কিন্তু বিজেপি তো দেশটাকেই বিক্রি করে দিচ্ছে! রেল, সেল, ভেল, সব বেচে দিচ্ছে। তাহলে কি বিজেপি ‘Ratmoney’ খাচ্ছে? সাহাগঞ্জের সভায় প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। কটাক্ষের সুরে বলেন, “তোলাবাজি কাকে বলে? যারা ৫ টাকা, ১০ টাকা তোলে, তাদের গ্রামের মানুষ তোলাবাজ বলে। আর যারা দেশকে বিক্রি করে দেন, কারখানা বিক্রি করে দেন? তারা কি Catmoney খান, নাকি তাকে Ratmoney বলে?”
প্রসঙ্গত, এদিন সভায় হুগলি জেলায় রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ হয়েছে। সিঙ্গুরে ১১ একর জমির উপর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে। ডানকুনি থেকে শুরু করে রেললাইন ধরে শিল্প হবে। হুগলিতে অনেক শিল্প হচ্ছে। সিঙ্গুরের চাষিরা আজও ভাতা পান। বন্যা নিয়ন্ত্রণেও হুগলি জেলায় প্রচুর কাজ হচ্ছে। আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে।”
Be the first to comment