রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষের মত জানতে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভায় “এলইডি রথ” নিয়ে পথে নামছে রাজ্য বিজেপি। এই “এলইডি রথ” আসলে একটি মোবাইল ভ্যান। বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে এই “লক্ষ্য সোনার বাংলা” নাম দিয়ে বিজেপির এই ডিজিটাল প্রচার প্রকল্প উদ্বোধন করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিজেপি বাঙালির মন জয় করতে প্রযুক্তিকেও ভালো ভাবে এবার ভোটার কাজে ব্যবহার করছে। এই “এলইডি রথ” তারই উৎকৃষ্ট উদহারণ। এদিন “লক্ষ্য সোনার বাংলা” নামের একটি পুস্তিকাও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি প্রকাশ করেন জে পি নাড্ডা।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, “আজ খুশির দিন, বাংলার মানুষ “লক্ষ্য সোনার বাংলা”-য় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আগে “বাংলা আজ যা ভাবে , ভারত কাল তা ভাবে”, এটি বলা হতো। এখন বাংলার সেই গৌরব কোথায়? কেন সোনার বাংলা বানাতে চাইছি সেটা বাংলার মানুষ জানেন।”
জে পি নাড্ডা বলেন, “আমরা এই “এলইডি রথ রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভায় পৌঁছবে। এর সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকবে। থাকবে whatsapp নম্বর । অভিযোগ জানানোর বাক্স থাকবে।এর মাধ্যমে মানুষে তাঁদের কথা, অভিযোগ, পরামর্শ ৩ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের জানাতে পারবেন। আসল পরিবর্তনের লক্ষ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলেছেন সেই আসল সোনার বাংলা হবে।”
এর পর যে পি নাড্ডা বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কি করবেন তার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, “আমরা ভোটে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান প্রকল্প, কিষান সম্মান নিধি, সপ্তম বেতন কমিশন চালু করবো। বাংলায় ভ্রষ্টাচার , কাটমনি থাকবে না। বেআইনি কয়লা পাচার, সিন্ডিকেট থাকবে না। বাংলার পণ্য গ্লোবাল মার্কেটে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
জে পি নাড্ডা বলেন, “বাংলার সংস্কৃতি সারা দুনিয়া জানে। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, শ্যামাপ্রসাদ যে সংস্কৃতি দিয়েছিলেন আমরা সেটা আবার ফিরিয়ে আনবো । আমরা সোনার বাংলার মর্যাদা আবার ফিরিয়ে আনবোই । বন্ধ করবো মাওবাদী তৎপরতা।”
বিনিয়োগের প্রশ্নে জে পি নাড্ডা বলেন, “এই রাজ্যে কোনও বিনিয়োগ নেই । ডেঙ্গু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ডাকক্তারদের ধমক দিচ্ছেন। করোনা নিয়ে, ডেঙ্গু নিয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রকে রাজ্য দেয়না। আমরা বাংলার শিল্প,স্বাস্থ্য, ধর্মীয় পর্যটন নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
প্রধানমন্ত্রী চা বাগান শ্রমিকদের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বাজেটে রেখেছেন। কি করে কাটমনি, তোলাবাজির হাত থেকে এই টাকা বাঁচিয়ে শ্রমিকের কাছে পৌঁছবে?” এই অভিযোগ করেন করেন জে পি নাড্ডা।
তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার আমফানের ত্রাণের টাকা, করোনার সময় রেশন চুরি করেছে। যাদের এসব পাওয়ার কথা তারা সেটা পাননি। এখানে তোলাবাজি,কাটমানি শুধু চলছে। এই নিয়ে আদালত অডিট করতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। আমার প্রশ্ন দিদি আপনার এতো ভয় কিসের? “
Be the first to comment