সকাল থেকে দেশ জুড়ে মিশ্র প্রভাব পড়ল বনধের। ‘কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সে’র (CAIT) ডাকে শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলাতে এর সামান্য প্রভাব পড়েছে। একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের ছাতার তলায় থাকা অনেকেই তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান-দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-ও।‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিত্রটা আরও কিছুটা পরিষ্কার হবে।
ছোট ব্যবসায়ী, হকারসহ অন্যান্যরাও এই বনধে সামিল হয়েছেন বলে দাবি ট্রেডার্স সংগঠনের। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন ওষুধের দোকান, দুধ বা সবজি বাজার বনধের আওতার বাইরে রয়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েনি এই বনধে। ‘বোম্বে গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে এই বনধে সামিল হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ওড়িষাতে মিশ্র প্রভাব পড়েছে বনধের। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রও প্রভাব ফেলেছে এই বনধ।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জিএসটি আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দাবি, তাদের সমর্থন করেছে ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের আট কোটি ব্যবসায়ী। পাশাপাশি কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে ওই বনধকে সমর্থন করেছে ‘অল ইন্ডিয়া ট্রান্সোপর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ট্রাক মালিকরাও বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন। ওয়াকিবহালের মহলের মতে, ভারত বনধের জেরে যান চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে।
এই প্রসঙ্গে বম্বে গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েসনের (BGTA) সম্পাদক সুরেশ খোসলা জানিয়েছিলেন, পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক বার সরকারকে পিটিশন দিয়েছে BGTA। আমাদের কর্মচারিরাও সরকারকে তাঁদের সমস্যার কথা নিয়মিত জানিয়েছেন। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে, পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনই GST সরলীকরণ নিয়েও সোচ্চার হয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, GST ব্যবস্থা জটিল হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
Be the first to comment