রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রীতিমতো ঝাঁঝালো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “বামেরা আমাদের দাবি অনুযায়ী আমাদের ৩০টি আসন ছেড়েছেন। আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপির বি-টিম মমতাকে উৎখাত করব। আগামী নির্বাচনে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব। যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম।” বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত।”
তবে কংগ্রেসের নাম আব্বাস সিদ্দিকী এদিনের সভা থেকে এক বারের জন্যও মুখে আনেননি। উল্টে আব্বাস সিদ্দিকী ব্রিগেড মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “আমরা করোও দয়া নিতে আসিনি, ভিক্ষা নিতে আসিনি । আমরা অধিকার বুঝে নিতে এসেছি।” এই বার্তার মধ্য দিয়েই আব্বাস সিদ্দিকী বুঝিয়ে দেন তিনি আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে যে টানাপোড়েন চলছে তাতে তিনি অসন্তুষ্ট। কেননা বামফ্রন্ট তাদের ৩০টি আসন দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমকে ধন্যবাদ দেন আব্বাস সিদ্দিকী।
এদিনের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের সম্মান দেন না। ধর্ষণ হলে তিনি টাকা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে কেউ শান্তিতে নেই। তিনি প্রশাসন দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। এখন তাঁর হাত থেকে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে এসেছে। এক মাস পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাহা থেকে প্রশাসনের তলোয়ারটাই চলে যাবে। আজকের এই ভিড় দেখে সবচেয়ে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
আব্বাস সিদ্দিকীর এদিনের বক্তব্য ছিল একজন পরিপক্ক রাজনীতিকের মতো। আব্বাস এদিন বলেছেন, “বাংলা নজরুলের, রবীন্দ্রনাথের, নৃতাজির বাংলা। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ওপর ক্ষুব্ধ। আমরা পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এই জোট করেছি। আমরা ভাগিদারী চাই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর একটা ভোটার অধিকার আমার একটা ভোটার অধিকার, রাস্তার ভিখারিরও একটা ভোটের অধিকার। এবার সেই অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে।”
Be the first to comment