পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতা কুরবান শাহের খুনে মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। প্রায় এক বছর জেলে ছিলেন তিনি। ভোটের মুখে এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি।
পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিহতের এক আত্মীয়। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই বিজ্ঞপ্তি একপাক্ষিক, দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভাবনাচিন্তাবিহীন।’ এদিকে ততক্ষণে সরকারি বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করে বেকসুর খালাসের রায় ঘোষণা করে দিয়েছে নিম্ন আদালত। তমলুক হাসপাতাল থেকে কার্যত ফেরার হয়ে যান আনিসুর রহমান। ঘণ্টার চারেক পরেই ফের কোলাঘাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তমলুক আদালতে বেরোনোর সময়ে আনিসুর বলেন, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নেই, ইচ্ছাও নেই। মন্ত্রী কিংবা ৩৫টি পদে কোনও দরকার নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমাকে তৃণমূল করতে দেওয়া হয়নি’।
Be the first to comment